নিজস্ব প্রতিবেদন : বাঘ, হাতি, হনুমানের পর পাগলা কুকুরের আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই পাগলা কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছেন ৪৫ জন। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বীরভূমের নগরী পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রামে। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন কয়েক হাজার মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, স্কুলের শৌচালয়ে মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্র


স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, নগরী পঞ্চায়েতের নগরী, পাতার, কামারডাঙা সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে এখন পাগলা কুকুরের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। কুকুরের কামড়ে জখম হয়েছে ৪৫ জন গ্রামবাসী। জখমদের তালিকায় রয়েছে শিশু ও মহিলাও। তাঁরা জানিয়েছেন, গত ৩ থেকে ৪ দিন ধরে একটি পাগলা কুকুর এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বাড়ির বাইরে বেরলেই কুকুরের কামড় খেতে হচ্ছে। ভয়ের চোটে স্কুলে যেতে পারছে না ছাত্রছাত্রীরা। বাড়ির বাইরে বেরতে পারছেন না মহিলারা। বাড়ির পুরুষদের বাইরে না বেরিয়ে কোনও উপায় নেই। তাই তাঁদের বাইরে বেরতেই হচ্ছে। কিন্তু পাগলা কুকুরকে শায়েস্তা করতে লাঠি হাতে বেরচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন, শিশুকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ধুন্ধুমার স্কুলে, 'পুলিসের মারে' ফাটল মাথা


ইতিমধ্যেই স্কুল যেতে গিয়ে আহত হয়েছে তপন হেমব্রম নামে এক ছাত্র। বাড়ির পাশের টিউবয়েল থেকে জল আনতে গিয়ে কুকুরের কামড়ের মুখে পড়েছে গুলু বাগদি নামে এক মহিলা। ইতিমধ্যেই প্রায় জনা ৩০ গ্রামবাসী সিউড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন। এদিকে সেখানেও দেখা দিয়েছে বিপত্তি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সিউড়ি সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বীরভূম জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আরি। তিনি জানিয়েছেন, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ রয়েছে। চিকিৎসার কোনও অসুবিধা হবে না।


আরও পড়ুন, মৃত্যুর আগে প্রেমিকের সঙ্গে রেস্তরাঁয় গিয়েছিলেন অর্চনা! নয়া ক্লু পুলিসের হাতে


প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর শহরেও পাগলা কুকুড়ের তাণ্ডব দেখা গিয়েছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৪০ জনকে কামড়েছিল পাগলা কুকুর। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, সন্ধ্যা হলেই রাস্তার মানুষজনের গায়ে আচমকা লাফিয়ে পড়ছে একটি কুকুর। আর তারপর সরাসরি পায়ে কামড়। কামড় দিয়েই পালিয়ে যাচ্ছিল কুকুরটি। কুকরের আতঙ্কে দিশেহারা অবস্থা হয় শহরবাসীর।