গাঁজা মেশানো সিগারেট ১০ টাকা; হেরোইন এক পুরিয়া ১০০, ড্রাগের রমরমা কারবার হিলিতে
পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে, কার্যত পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় বাসিন্দারা
নিজস্ব প্রতিবেদন: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্ত ঘেঁষা ব্লক হিলি। সেখানে অবৈধ চোরাকারবারি থেকে অবৈধ নেশাদ্রব্যের কারবার রমরমিয়ে চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট, কাফ সিরাপ, লুপেজেসিক ইনজেকশনের নেশায় জড়িয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া, কিশোর, বয়স্করা। ড্রাগের নেশায় বুঁদ হিলির যুব সমাজের এক বড় অংশ। এলাকায় নেশার জিনিসের পরিমাণ মতো ভাগ করে পৃথকভাবে দাম ধার্য করা হয়।--
** লিপস (এক পুরিয়া হেরোইনের নাম) ১০০ টাকা, কোয়াটার ২০০ টাকা।
** প্রতি বোতল কাফ সিরাপের দাম ২৩৫ টাকা। বেশ কয়েক প্রকারের কাফ সিরাপ পাওয়া যায়।
** একটি ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম ৩৫ টাকা।
** গাঁজা চার হাজার টাকা কেজি থেকে শুরু।
**গাঁজা মেশানো প্রতিটি সিগারেটের দাম দশ টাকা।
আরও পড়ুন-নির্মলা সম্পর্কে সৌগতর মন্তব্য নিয়ে তোলপাড়, বাদ দেওয়া হল লোকসভায় কার্যবিবরণী থেকে
গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা ট্যাবলেট সহ একাধিক মারণ নেশার আসক্তিতে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে এলাকার কিশোর থেকে বয়স্করা। নেশা আসক্ত পরিবারে অশান্তি নিত্যসঙ্গী। এখানকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, " গ্রামের প্রায় প্রতি ঘরে ঘরে অল্প বয়সী ছেলেরা নেশাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে অন্যগ্রামে গিয়ে চুরি ,ডাকাতি এবং ছিনতাই করছে। পুরো এলাকা ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে। আমরা এসব বন্ধ করতে চাই। "
ক্রমশ বাড়ছে এই নেশাচক্র । হিলি ব্লকে ঢুকছে বহিরাগতরা। এলাকা জুড়ে হেরোইন কারবারিরা পুরিয়া বিক্রির পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম দিনদিন বাড়ছে। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে গ্রামবাসীরা। এই অভিযোগ নিয়ে বারবার পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ , " পুলিসের সহযোগিতায় এইভাবে এই এলাকায় অবৈধ চোরাকারবারি থেকে অবৈধ নেশা দ্রব্যের কারবার রমরমিয়ে চলছে। বারবার পুলিস জানানো সত্ত্বেও পুলিস কোন ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা এলাকায় নতুন নতুন কারবার গজিয়ে উঠছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ছে এলাকার ছেলারা। সাইকেল চুরি ,মোবাইল চুরি,নিত্যদিনের ঘটনা। বেশ কিছুদিন হল হিলির বিভিন্ন এলাকায় চুরির ঘটনা বেড়েছে। চুরির কিনারা করতে গিয়ে চোরকে পাকড়াও করার পর পুলিস জানতে পারছে নেশার টাকার জোগাড় করতে চুরি করছে এরা ।"
আরও পড়ুন-বিধায়ক সত্যজিত্ খুনে সিআইডি-র সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট পেশ, জুড়ল বিজেপি সাংসদের নাম
পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে, কার্যত পুলিস প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও পুলিসের দাবি, মাদক বিরোধী অভিযান চলছে। অনেকের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। পুরো চক্রের পেছনে পুলিসের পাশাপাশি প্রভাবশালীদের থাকার অভিযোগ করছে হিলি ব্লকের মানুষ।