নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে বুলবুলের বলি ৯। শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মারা গিয়েছেন ৬ জন। বাকি দুজনের মৃত্যু হয়েছে কালনা এবং নন্দিগ্রামে। খাস কলকাতাতেও গাছ পড়ে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার রাতভোর তাণ্ডব চালিয়ে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের দিকে চলে গিয়েছে বুলবুল। তার আগে লণ্ডভণ্ড করেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা-পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। 



একইভাবে বুলবুলের বিপদ টের পেয়েছে বসিরহাট, হিঙ্গলগঞ্জ, নোদাখালির মানুষও। এদিন গোকনা গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিলেন রেবা বিশ্বাস। রাত ৩টের সময়ে ঝড়ের দাপটে তার ঘরের ওপরেই ভেঙে পড়ে শিরিষ গাছ। মারা যান বছর ৪০-এর রেবা দেবী। 


বুলবুলের দাপটে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরে। মারাত্মক জখম হন মইদুল গাজি নামে এক ব্যক্তি। হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মারা যান মইদুল।পাশাপাশি ঝড়ের দাপটে ঘর চাপা পড়ে মারা যান হিঙ্গলগঞ্জ মালেকানঘুমটির বাসিন্দা সুচিত্রা মন্ডল। নোদাখালিতে বুলবুলের তাণ্ডবে উড়ে যায় ঘরের চাল। জল ঢুকে যায় ঘরে, তারমধ্যেই টিভির সুইচ অন করতে গিয়ে  বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মারা যান বছর পনেরোর কিশোর সুদীপ ভক্ত। এ ছাড়াও গাছ চাপা পড়ে দুই মহিলার মৃত্যু হয়েছে সন্দেশখালি ও হিঙ্গলগঞ্জে।


আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে 'বুলবুল' দুর্যোগে সবরকমভাবে পাশে থাকার আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর


অন্যদিকে নন্দীগ্রামে ভেকুটিয়ায় রাতে স্বামী সন্তানকে নিয়ে ঘুমাচ্ছিলেন সুজাতা দাস। মাঝরাতে ঘরের ওপর ভেঙে চাপা পড়ে মারা যান সুজাতা। এদিন কালনাতেও মৃত্যু হয়েছে এক কৃষকের। রাতে ফসলের হাল দেখে বাড়ি ফিরছিলেন সমীর মজুমদার। তখনই আচমকা ছিঁড়ে পড়ে বিদ্যুতের তার। পথেই মারা যান সমীরবাবু। বুলবুল রেয়াত করেনি কলকাতাকেও। শনিবার সন্ধেতে খাস বালিগঞ্জে গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয়ছে এক যুবকের।