নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘ ৪১ বছর একটানা পরিষেবা দিয়েছে বাষ্পচালিত ইঞ্জিনের ট্রেন। অবসরের পর  প্রথমে টিকিয়াপাড়া কারশেড, সাঁত্রাগাছি রেল মিউজিয়াম ঘুরে তার ঠাঁই হয়েছিল হাওড়া রেল মিউজিয়ামে। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বর্তমানে হাওড়া ডিভিশনাল রেল আধিকারিকের অফিসের ঠিক সামনেই জ্বলজ্বল করছে এক টুকরো অতীত। ঐতিহ্যের স্মৃতি আঁকড়েই দাঁড়িয়ে রয়েছে বৃটিশ ভারতীয় রেল পরিষেবার মূর্ত ইতিহাস। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে তার অবস্থা সঙ্গিন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পরতে পরতে ঐতিহ্যের চরম অমর্যাদার ছাপ স্পষ্ট। হেরিটেজ ইঞ্জিনের চালকের কেবিনে আপাতত সংসার পেতেছে ভবঘুরে। রাস্তা থেকে কুড়িয়ে পাওয়া কম্বল, পুরনো ঝুড়ি কুড়িয়ে কেবিনে রেখেছে মানসিক ভারসাম্যহীন ওই যুবক। আপনমনে সমানেই ছুঁরি চালিয়ে যাচ্ছেন ইঞ্জিনের গায়ে। অপরিচ্ছন্নতায় ভরেছে কামরা। রেল কর্তৃপক্ষের কি আদৌ চোখে পড়েছে এহেন দৃশ্য? তারপরেও কেন এই উদাসীনতা? উঠছে প্রশ্ন। এ ব্যাপারে ডিআরএমের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। ঠিক সামনেই হাওড়া জিআরপি অফিস। হেরিটেজ রক্ষার কথায় তাদের সাফাই,"যা বলার রেল কর্তাদের বলুন।" 


আরও পড়ুন: মাঝ গঙ্গায় ভাসতে ভাসতে ‘ইলিশ উত্সব’! সুযোগ হাতছাড়া করলে পস্তাবেন


সালটা ১৯১৪, ইংল্যান্ডে তৈরি হয়েছিল ইঞ্জিনটি। ইঞ্জিনটি ব্যবহার করে ইস্ট ইন্ডিয়া রেলওয়ে। ১৯১৬ সালে জানুয়ারি মাসে জাহাজে করে ইঞ্জিনটাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বন্দরে। ১৯১৬ সালের জুন মাস থেকে টানা ৪১ বছর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে দাপিয়ে বেড়ায় বাস্পচালিত রেল ইঞ্জিন একে৬। তবে আজ সে ব্রাত্য। চরম অমর্যাদায় ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে জরাজীর্ণ ইতিহাস।