বিমল বসু: আবার এক বছরের অপেক্ষা। একরাশ বিষাদ পেছনে ফেলে উমা ফিরে চললেন। সকালে দশমীর পুজো শেষ হতেই কোনও কোনও জায়গায় শুরু হয়ে যায় প্রতিমা বিসর্জন। টাকিতে দশমীর পুজোর পরই শুরু হয়ে গেল ভাসান। টাকা রাজবাড়ীর প্রতিমাটিকে বের করা হল ২৪ জন বেহারার কাঁধে চড়িয়ে। এলাকার মানুষজন থিকথিকে ভিড় ঠেলে সেই প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হল ইছামতীর ঘাটে। এভাবেই একের পর এক প্রতিমা নিরঞ্জন হল ইছামতীতে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা



দীর্ঘদিন ধরে টাকিতে বিজয় দশমীর দিন বিকেলে ইচ্ছামতীতে প্রতিমা ভাসান উপলক্ষে দুই বাংলার মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত। এই মিলনকে কেন্দ্র করে  নদীর দু'পাড়ে মানুষের ঢল নামত। কিন্তু কয়েক বছর আগে এই বিসর্জনকে কেন্দ্র করে সীমান্ত শিথিল হওয়ার কারণে বাংলাদেশ থেকে ব্যাপকহারে অনুপ্রবেশের ফলে দুই বাংলার মিলন বন্ধ হয়ে যায়। তাই গত কয়েক বছরের মত এবারও দশমী পুজো শেষ হতেই  সকাল থেকেই টাকির জমিদারবাড়ির প্রতিমা গুলোর ইছামতীতে ভাসান হয়। প্রথমে তিথি মেনে টাকির পুবের বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হয়। তার পর অন্যান্য  বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন হয়। টাকির পুবের বাড়ি থেকে ২৪ বেয়ারার কাঁধে  চড়ে উমা যান টাকির ইছামতীর ঘাটে সেখানে সাত পাক দিয়ে ইছামতীতে বিসর্জন দেওয়া হয় মা দুর্গাকে। বিসর্জন দেখতে মানুষের ঢল নামল টাকির ইছামতী রাজবাড়ির ঘাটে।



ভাসান উপলক্ষ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় নজরদারি কড়া করেছে বিএসএফ। ইছামতীর রাজবাড়ীর ঘাট, সৈয়দপুরের ঘাটে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। তৈরি রয়েছে রাজ্য পুলিস ও বিশেষ মেডিক্যাল টিম।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)