Durga Puja 2023: `কাউকে ডাকতে হয় না! ঢাকি থেকে নাপিত সকলে নিজেরাই এসে পুজোর দায়িত্ব নেন`...
Bardhaman: এ পুজোর জন্য কাউকে আলাদা করে ডাকতে হয় না-- যিনি এ পুজোর পুরোহিত, যিনি এ-পুজোয় ঢাক বাজান, যে নাপিত ফুল নিয়ে আসেন, তাঁরা নিজেরাই এসে এ পুজোর দায়িত্ব পালন করেন। এঁদের সকলকে জমি দান করা আছে।
পার্থ চৌধুরী: ভারতের শাসনভার তখন মোগল সম্রাটদের হাতে। দিল্লির তখতে দোর্দণ্ডপ্রতাপ আওরঙ্গজেব। সেই ৩৫৭ বছর আগে সূচনা এই পুজোর। বর্ধমানের বর্ধিষ্ণু গ্রাম রায়ান। এখন শহর যেখানে গ্রামাঞ্চলের সঙ্গে মিতালি পাতিয়েছে সেখানেই বিখ্যাত এই চৌধুরীবাড়ির পুজো।
আরও পড়ুন; Durga Puja 2023: বুড়ো বটের কোটর দিয়ে বনদেবীর পথ, চত্বর জুড়ে তাল গাছ আর বাবুইয়ের বাসা...
চৌধুরীবাড়ির উত্তরপুরুষ বিশ্বেশ্বর চৌধুরী জানান, বৈদিকমতে পরিচালিত হয় তাঁদের পুজো। মেনে চলা হয় গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকার নির্ঘন্ট। রথের দিন পুজো করে ঠাকুর গড়ার সূচনা হয় এ বাড়িতে। মহালয়ায় চক্ষুদান করে রঙ শুরু করা হয়। আগে এখানে বস্ত্রদান হত। নবমীতে বিশেষ ভোগ দেওয়া হয় মাকে। ষাট বছর আগেই বলি উঠে গিয়েছে এ বাড়ি থেকে। এতেই বোঝা যায়, এ বাড়ির পূর্বপুরুষেরা কতটা উদার মনের ছিলেন।
বিশ্বেশ্বর চৌধুরী আরও জানান, এ পুজোর জন্য কাউকে আলাদা করে ডাকতে হয় না-- যিনি এ পুজোর পুরোহিত; যিনি এ-পুজোয় ঢাক বাজান, যে নাপিত ফুল নিয়ে আসেন, তাঁরা নিজেরাই এসে এ পুজোর দায়িত্ব পালন করেন। এঁদের সকলকে জমি দান করা আছে। নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা নিজেরাই এসে নিজের কাঁধে পুজোর দায়িত্ব তুলে নেন। এমনই তাঁরা করে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে।
আরও পড়ুন; Durga Puja 2023: ৪৩৯ বছরের 'পোড়া মা'! স্বপ্নাদেশে বললেন, 'মুখের রং কালো করেই আমার পুজো কর'!
তা ছাড়া, এই পরিবারের পুকুর আছে। তার মাছ বিক্রি করেও ভাল পরিমাণ টাকা আয় হয়। সেই টাকায় পুজোর অনেক খরচই নির্বাহ করা হয়। তাছাড়া এ বাড়িতে বর্তমানে আশিজন সদস্য। পুজোর কদিন সবাই এখানে আসেন। সবাই নিজের দায়িত্ব নিজেই কাঁধে তুলে নেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দর ভাবে পুজোর সমাধা হয়।