জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক মহিলার হাতে শুরুটা হয়েছিল। তারপর তাঁর একার একাকিত্ব ঘুচিয়ে অন্য মহিলারাই এক-এক করে জুটতে থাকলেন, জুড়তে থাকলেন এ পুজোর সঙ্গে। আর আজ শিলিগুড়ির মাতৃ কুটিরের পুজো মহিলাদের অন্যতম পুজো হিসেবে পরিচিত। শুরুটা হয়েছিল অদ্ভুতভাবে। 'মাতৃ কুটির' নামটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে প্রিয়ম্বদা বিশ্বাস একাই পুজো করতেন। সারদা দেবীর পাশাপাশি সেখানে পূজিতা হতেন দেবী দুর্গাও। দু-তিন বছর এভাবেই চালান তিনি। তার পরে এক এক করে মহিলারা জুড়তে থাকেন এই পুজোয়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Durga Puja 2022: দুর্গাপুজোর সব চেয়ে মাহাত্ম্যপূর্ণ মুহূর্ত কোনটিকে মনে করা হয় জানেন?


মাতৃ কুটিরের পুজো মানেই প্রতিপদে ঘটস্থাপনা করে পুজো শুরু। ষষ্ঠীতে যথারীতি বোধন। এ পুজো যে শুধু মহিলা-পরিচালিত তা নয়, এ পুজোর সর্বাংশে বিজড়িত মাতৃশক্তি। এ পুজোর পৌরোহিত্য থেকে শুরু করে এর ভোগ রান্না, ভোগপ্রসাদ বিতরণ-- সবটাই সামলান মহিলারা। এই নিয়মের বদল হয়নি আজও। অনেক বাড়িতেই পুজো মেয়েদের দ্বারাই আয়োজিত হয়, কিন্তু বারোয়ারি বা এ ধরনের কোনও সংঘ কিংবা প্রতিষ্ঠানের পুজোরও পুরোটাই মেয়েদের দ্বারা পরিচালিত হলে তা সকলের নজর কাড়তে বাধ্য। এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। 


পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা


অষ্টমীর সকালে মাতৃ কুটিরের সকলেই কুমারী পুজোর অপেক্ষায় থাকেন, এবারেও ছিলেন। সেটাই মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। পৌরোহিত্যে অন্য মহিলা থাকলেও কুমারী পুজোর দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন প্রিয়ম্বদা বিশ্বাস স্বয়ং। পুরোহিত শিখা চক্রবর্তী জানান, 'আমাদের পথ দেখান প্রিয়ম্বদা। তিনি আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন এখানে পুজো করার।'



প্রিয়ম্বদা জানান, 'এখানে নিজের অজান্তেই আমরা কে কখন কীভাবে জুড়ে গিয়েছি সেটা অজানা। আমি একা শুরু করলেও আজ আমি আর একা নই। আমাদের মূর্তি গড়া থেকে শুরু করে, ভোগ পরিবেশন, এমনকি শাক-আনাজ যাঁর কাছ থেকে আনা হয় তিনিও মহিলা। মেয়েদের সামাজিক স্বীকৃতি রয়েছে সমানাধিকার রয়েছে, কিন্তু সাহস করে আর ক'জন এগোন! তাঁদের সাহস জোগানোটাই মাতৃ কুটিরের প্রধান কাজ।'


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)