নিজস্ব প্রতিবেদন- একটা-দুটো দিন তো নয়! সাতদিন ধরে জল নেই। সাতদিন ধরে জল সরবরাহ বন্ধ থাকা সত্ত্বেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। এদিকে মহাদুর্ভোগের মধ্যে থাকা শহরবাসীর ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। তাঁরা দুষছেন পুরসভার কাউন্সিলরদের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত শনিবার ভোরে দুর্গাপুর দামোদর ব্যারেজের একত্রিশ নম্বর লক গেট বেঁকে যায়। ব্যারেজের জল শূন্য করে বেঁকে যাওয়া লকগেটের কাজ শুরু হয় পাঁচ দিনের মাথায়। প্রায় তিরিশ ঘন্টা পর লকগেট মেরামতের কাজ শেষ হয়। ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার রাত থেকে নদীতে জল আসা শুরু হয়। তবে শুক্রবার দুপুর পেরিয়ে গেলেও দামোদরে জলের লেভেল আসেনি। দামোদরের জল ফিডার ক্যানেলে ঢুকে জলের মাপ উঠলে তবেই দুর্গাপুর শহরে জল সরবরাহ হবে। পাম্পের মাধ্যমে জল সংগ্রহ করে তারপর বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। 


আরও পড়ুন-  ২০ ডিগ্রীর নিচে নামল কলকাতার তাপমাত্রার পারদ


ফিডার ক্যানেলে জল পৌঁছনোর পর আরও চার ঘন্টা সময় লাগবে। সুতরাং সাতদিন পরও জলের সমস্যা মিটল না দুর্গাপুর শহরে। তবে প্রায় একশো ট্যাঙ্কার দুর্গাপুর শহরে জল সরবরাহ করছে। তার সঙ্গে পিএইচই দফতর থেকে ভ্রাম্যমান পানীয় জল তৈরির গাড়ি লাগিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পাউচ প্যাকেট করে বিভিন্ন এলাকায় জল সরবরাহ করা হচ্ছে। জল সংকটের কারণে দুর্গাপুর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এবং আরও অনেক ছোট কারখানাও জলের সমস্যায় উৎপাদনের কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। পরিস্থিতি কবে নাগাদা স্বাভাবিক হতে পারে তারও কোনও আভাস পাওয়া যাচ্ছে না।