মনোজ মণ্ডল: ব্রিটিশ আমলে অশোকনগর ছিল রয়্যাল এয়ারপোর্ট স্টেশন বা ব্রিটিশ বিমানঘাঁটি। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে পরিত্যক্ত ইংরেজ আমলের এই এয়ারফিল্ড ড. বিধানচন্দ্র রায়ের পরিকল্পনায় হয়ে ওঠে উদ্বাস্তু কলোনি। এলাকাবাসীরা চাইছেন, দ্রুত সংস্কার করে হেরিটেজ তকমা দেওয়া হোক এই ঐতিহাসিক স্থানকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Ayodhya-South Korea: অযোধ্যার কন্যা হলেন কোরিয়ার রানি! রামমন্দির-পর্বে সামনে এল বিস্মৃত ইতিহাস...


পূর্বে এই শহর 'হাবড়া আরবান কলোনি' নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে এর উত্তর-পূর্ব অংশের নামকরণ হয় 'কল্যাণগড়', দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের নামকরণ হয় 'অশোকনগর'। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী অশোকনগর-কল্যাণগড় এলাকায় সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছিল। যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার জন্য এখানে বানানো হয়েছিল রানওয়ে। অশোকনগরের গোলবাজার থেকে নিউ মার্কেট পর্যন্ত গেলে এখনও দেখা যায় সেই রানওয়ের অংশবিশেষ।


স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে ড. বিধানচন্দ্র রায়ের পরিকল্পনায় উদ্বাস্তুনগরী হিসেবে রূপ নেয় অশোকনগর। স্বাধীনতার ইতিহাসের নানা সাক্ষ্য বহন করলেও তা সংরক্ষণের যথেষ্ট অভাব রয়েছে বলে মনে করেন অশোকনগরবাসী। 


আরও পড়ুন: Jalpaiguri: 'রাম ফিরলেন, তাই অকাল দীপাবলি' উচ্ছ্বসিত মানুষ...


তবে, জানা গিয়েছে, অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর উদ্যোগে এই ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে নিয়ে বিশেষ কিছু পরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন দেখার স্বাধীনতার ইতিহাস বহন করা এই বিমান ঘাঁটির ধ্বংসাবশেষকে কীভাবে এবং কতটা সংরক্ষণ করা হয়।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)