ভারতী ঘোষের বৈঠকে হামলা, দাসপুরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ
দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার বৈকুণ্ঠপুরে।
বিজেপির অভিযোগ, হামলা চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে বলে অভিযোগ। তাতে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ দফার আগেই রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমান
বিজেপির একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, বৈকুষ্ঠপুরে একটি মঠের মধ্যে দলের গোপন বৈঠক চলছিল। বৈঠকে বিজেপির প্রায় ৩০ জন স্থানীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। বিজেপির অভিযোগ, রাত ৯টা নাগাদ মঠের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী।
তারা ভারতী ঘোষের উপর হামলার চেষ্টা করে। বিজেপির দাবি, হামলাকারীরা তৃণমূলের কর্মী। অভিযোগ, এর পর দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ইট ছোড়াছুড়িও হয়। তাতেই বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের দাসপুর হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রার্থীদের বায়োডাটা, কাঁথি: শিশিরের জয়ের হ্যাটট্রিকের পথে কাঁটা বিজেপির চিকিত্সক প্রার্থী
এই ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয় ওই এলাকায়। ঘটনার খবর সেখানে পৌঁছায় বিশাল পুলিস বাহিনী। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে বলে শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে। ঘাটালের এসডিপিও যেকোনও সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছবেন বলেও শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ জানা গিয়েছে।
তবে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, মঠটি ঘিরে রাখে প্রায় দু’শোজন তৃণমূল কর্মী। ভিতরে তখন ছিলেন বিজেপির প্রার্থী ভারতী ঘোষ।
আরও পড়ুন: বুদ্ধ পূর্ণিমায় বাংলার মন্দিরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ছক, সতর্কতা আইবির
যদিও তৃণমূলের তরফে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে অর্থ উদ্ধার হয়। তা নিয়ে শুক্রবার দিনভর রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলেছে। ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাও দায়ের হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, মঠের বাইরে স্থানীয় মানুষ জড়ো হয়েছেন। তাঁরা ভারতী ঘোষের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন। পরে পুলিস গিয়ে দু’পক্ষের ৩৮ জনকে আটক করে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটের বল খুঁজতে গিয়ে মিলল ঝুলন্ত মৃতদেহ
এদিকে ভারতী ঘোষের দাবি, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। পিংলার দিক থেকে আসছিলেন। তিনি গোলমালের খবর পেয়ে সেখানে আসেন। তাঁকে পাথর ছুঁড়ে মারা হয়েছে। বিজেপির নেতা-কর্মীদের পুলিস ধরে নিয়ে গিয়েছে। অভিযুক্তদের ধরেনি বলে ভারতীর দাবি।