কালীপুজোর ৫০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে বচসা, ব্যাপক ভাঙচুর বরানগরের ধাবায়
সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, বেআইনিভাবে মদ বিক্রি হয় ওই ধাবায়।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়: কালীপুজোর চাঁদা নেওয়াকে কেন্দ্র করে বচসা ও ব্যাপক ভাঙচুড় ধাবায়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বরানগরের আলমবাজারে। অভিযোগ, ঘটনায় বেধড়ক মারধর করা হয় ধাবার মালিক মুন্সিলাল রায়কেও। অভিযোগ, আলামবাজার নব জ্যোতি সংঘের সভাপতি পুলক ঘোষ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চান ধাবার মালিকের থেকে। আর টাকা দিতে রাজি না হওয়া এদিন রাত এগারোটা নাগাদ প্রায় ১৫ জন লোক নিয়ে ধাবায় এসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। মারধর করা হয় মালিক ও তার ছেলেকেও।
ধাবার লোকজনদের অভিযোগ, পুলিস পেট্রোলিং ভ্যান পাশে থাকলেও সাহায্য করেনি তারা। এমনকী রাতে অভিযোগ জানাতে গেলেও ঘটনাটি নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও পরে পুলিস এফআইআর নিতে বাধ্য হয় বলেই জানা গিয়েছে। অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে ক্লাবেরই এক সদস্য কৌশিক মুখার্জি তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়ার সময় ধাবা থেকেই কটূক্তি করা হয়। এমনকী ক্লাবের সদস্যদের অভিযোগ বেআইনি মাদক দ্রব্যও বিক্রি করে ওই ধাবা।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার রুখতে তৎপর সিবিআই, চক্রে যোগ রাজনৈতিক নেতাদেরও
অন্যদিকে মদ বিক্রি প্রসঙ্গে ধাবার মালিক জানান, বছর দুই আগে মদ বিক্রি হলেও এখন আর তা হয় না। পাশাপাশি ধাবার কর্মীদের আরও অভিযোগ, শুধু কালীপুজোই নয়, ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের জন্যও বছরে ২ বার করে টাকা চাওয়া হয় ক্লাব থেকে। অগাস্ট মাসেই ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ধাবার মালিক।