নিজস্ব প্রতিবেদন : যাত্রী ভিড়ের চাপ কমাতে আরও ৭টি সংরক্ষিত স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেলওয়ে। শিয়ালদা-লালগোলা, শিয়ালদা-সহরসা, হাওড়া-ধানবাদ, হাওড়া-মুম্বই সিএসএমটি, মালদা-কিউল এবং ভাগলপুর-রাঁচি রুটে এই স্পেশাল ট্রেনগুলি চালানো হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই অতিরিক্ত এই স্পেশাল ট্রেনগুলির পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিয়ালদা-লালগোলা স্পেশাল শিয়ালদা থেকে সন্ধ্যে ৬টা ২০টে ছাড়বে। লালগোলায় পৌঁছবে ওইদিনই রাত ১১টায়। ফিরতি পথে লালগোলা-শিয়ালদা পরদিন ভোর ৫টা ৪০-এ ছেড়ে শিয়ালদায় পৌঁছবে সকাল ১০টা ৪০-এ।


শিয়ালদা-সহরসা স্পেশাল ভায়া পূর্ণিয়া শিয়ালদা থেকে ছাড়বে রাত ৮টা ১০-এ। সহরসাতে পৌঁছবে পরদিন দুপুর সোয়া ১২টায়। মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার চলবে এই স্পেশাল ট্রেনটি। ফিরতি পথে বুধ ও শুক্রবার সহরসা থেকে বেলা ২টো বেজে ৫০ মিনিটে ছাড়বে সহরসা-শিয়ালদা স্পেশাল ভায়া পূর্ণিয়া। পরদিন সকাল ৭টা ২০-তে ট্রেনটি শিয়ালদায় পৌঁছবে।


আর শিয়ালদা-সহরসা স্পেশাল মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার ছাড়া প্রতিদিনই রাত ৮টা ২০তে শিয়ালদা থেকে ছেড়ে পরদিন দুপুর পৌনে ১টায় সহরসাতে পৌঁছবে। আবার ফিরতি পথে সহরসা থেকে দুপুর সোয়া ২টোয় ছেড়ে (বুধ ও শুক্রবার ছাড়া) পরদিন সকাল ৭টা ২০-তে শিয়লদায় ঢুকবে।


হাওড়া-ধানবাদ স্পেশাল প্রতিদিন বিকেল ৫টা ২০তে হাওড়া থেকে ছেড়ে ওইদিনই রাত ৯টা ৪০-এ ধানবাদে পৌঁছাবে। আবার ফিরতি পথে পরদিন ভোর ৫টা ৫০-এ ধানবাদ থেকে ছেড়ে ওইদিনই সকাল ১০টা ২৫-এ হাওড়ায় পৌঁছাবে।


হাওড়া-মুম্বই সিএসএমটি সুপারফাস্ট ভায়া ডানকুনি হাওড়া থেকে রাত ১১টা ৩৫-এ ছেড়ে তৃতীয়দিন দুপুর দেড়টায় মুম্বই সিএসএমটি পৌঁছাবে। আবার মুম্বই থেকে সেদিন রাত সোয়া ১০টায় ছেড়ে তৃতীয়দিন সকাল ১১টা ৪০-এ হাওড়ায় পৌঁছাবে। 


মালদা-কিউল স্পেশাল মালদা টাউন থেকে ভোর ৫টা ৪০-এ ছেড়ে সেদিনই বেলা ১২টা ৫০-এ কিউল পৌঁছাবে। ফিরতি পথে কিউল-মালদা স্পেশাল দুপুর ২টোয় কিউল থেকে ছেড়ে ওইদিনই রাত ৮টা ৫৫-এ মালদা টাউন পৌঁছাবে।


ভাগলপুর-রাঁচি স্পেশাল ভাগলপুর থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ৫-এ। রাঁচি পৌঁছাবে পরদিন সকাল সাড়ে ৮টায়। ফিরতি পথে রাঁচি-ভাগলুর স্পেশাল রাঁচি থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ২০-তে। ভাগলপুর পৌঁছাবে পরদিন সকাল ৯টায়।


পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ নভেম্বর থেকেই এই স্পেশাল ট্রেনগুলির বুকিং শুরু হয়ে যাবে। পিআরএস কাউন্টার থেকে ও অনলাইনে টিকিট বুক করতে পারবেন যাত্রীরা। তবে এই ট্রেনগুলির ভাড়ার ক্ষেত্রে 'স্পেশাল' চার্জ ধার্য করা হবে। ফলে অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হবে যাত্রীদের।


প্রসঙ্গত, আসানসোল ডিভিশনের উপর দিয়ে যাওয়া কোলফিল্ড ট্রেনটির চাহিদা যাত্রীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই ট্রেনে অফিসযাত্রীদের পাশাপাশি অন্যান্য নিত্যযাত্রীরাও যাতায়াত করেন। এদিন পূর্ব রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী জানান আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ধানবাদ-হাওড়া কোলফিল্ড স্পেশাল ট্রেনটি। উল্লেখ্য, ধানবাদ ডিভিশনের এই ট্রেনটি আসানসোল ডিভিশন হয়ে হাওড়া যায়। এদিন এই খবর ঘোষণা হতেই খুশির হাওয়া রেলযাত্রীদের মনে।


আরও পড়ুন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি, কালোবাজারির ভয়ে আশঙ্কিত একাংশ চিকিত্সক মহল