Eastern Railway: অবিশ্বাস্য! রেলের খাবার এবার মাত্র ২০ টাকায়! সঙ্গে `কম্বো মিলে`র দারুণ অফারও...
Eastern Railway: হাওড়া, বর্ধমান, রামপুরহাট-সহ একাধিক স্টেশনে এবার মাত্র ২০ টাকায় খাবারের ব্যবস্থা করল পূর্ব রেলওয়ে। এই উদ্যোগ মূলত জেনারেল ক্লাস এবং স্লিপার ক্লাসের মানুষদের কথা ভেবেই। এছাড়া গরমের কথা মাথায় রেখে পানীয় জলের বন্দোবস্তও রাখা হচ্ছে।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: হাওড়া, বর্ধমান, রামপুরহাট-সহ একাধিক স্টেশনে এবার মাত্র ২০ টাকায় খাবারের ব্যবস্থা করল পূর্ব রেলওয়ে। এই উদ্যোগ মূলত জেনারেল সেকেন্ড ক্লাস এবং স্লিপার ক্লাসের মানুষদের কথা ভেবেই। এছাড়া গরমের কথা মাথায় রেখে তিন টাকায় সিল করা গ্লাসে পানীয় জলের বন্দোবস্তও রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মীনে মঙ্গল! এর জেরে সৌভাগ্যের চূড়ায় উঠবেন এই চার রাশির জাতক, বন্যার মতো আসবে টাকা...
এই ভয়ংকর দাবদাহের মধ্যে যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে প্রখর নজর রেখেছে ভারতীয় রেল। তারা এই সময়ে নানা স্পেশাল ট্রেন নিয়ে এসেছে। সামনেই গরমের ছুটি। সেই সময়টায় অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার বন্দোবস্ত করেন। ফলে এই সময়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো জরুরিও। তবে শুধু ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়েই ক্ষান্ত হয়নি রেল। তারা এবার অতি সস্তা দরে নিয়ে আসছে মিলের ব্যবস্থা। মাত্র ২০ টাকায়। এজন্য স্টেশনগুলিতে রাখা থাকবে ভেন্ডিং কিয়স্ক। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন এসে দাঁড়ালে যেখানে জেনারেল সেকেন্ড ক্লাস এবং স্লিপার ক্লাসের কোচ এসে থামবে, সেখানেই থাকছে এই কিয়স্কগুলি।
পূর্ব রেল এটিকে বলছে ইকনমিক্যাল মিল। আপাতত হাওড়া, বর্ধমান, রামপুরহাট, মালদা, ভাগলপুর, দুর্গাপুর, জসি়ডি, মধুপুর ইত্যাদি স্টেশনে মিলবে ২০ টাকার এই ইকনমিক্যাল মিল। এর পাশাপাশি থাকছে মাত্র ৫০ টাকায় 'কম্বো মিল'। জলের জন্যেও থাকছে সুবন্দোবস্ত। মাত্র ৩ টাকায় এক গ্লাস (২০০ মিলিলিটার) প্যাকড জল সরবরাহ করবে রেল।
কী থাকছে এই 'ইকনমিক্যাল মিলে'?
মোট পাঁচটি অপশন থাকছে। অপশন-১ -- পুরী, আলুর দম, আচার। অপশন-২-- লেমন রাইস ও আচার। অপশন-৩-- দই-ভাত, সঙ্গে আচার। অপশন-৪-- তেঁতুল-ভাত, সঙ্গে আচার। এবং অপশন-৫-- ডালখিচুড়ি, আচার। পুরী, আলুর দম, আচারের মিলটি একটি প্যাকড বক্সে দেওয়া হবে। বাকি সব ক'টি মিল দেওয়া হবে ক্যাসেরোল প্য়াকে, সঙ্গে থাকবে কাঠের চামচ।
আরও পড়ুন: Khardaha: মহাপ্রভুর মন্দির থেকে চুরি গেল ৫০০ বছরের পুরনো কৃষ্ণমূর্তি! এলাকায় চাঞ্চল্য...
জেনারেল সেকেন্ড ক্লাস এবং স্লিপার ক্লাসের কোচের যাত্রীদের যাতে ভিড় রেলস্টেশনের প্ল্যাটফর্মে-প্ল্যাটফর্মে ঘুরে ঘুরে হন্যে হয়ে খাবারের খোঁজ করতে না হয়, তাই রেল এই ব্যবস্থা করছে এবং তারা বিষয়টি নিয়ে খুবই আন্তরিক যাতে এই পরিষেবা প্রতিটি যাত্রীর কাছে সঠিক সময়ে পৌঁছে দেওয়া যায়।