Kalyan Banerjee on Anubrata: `বদলা নয় বদল চাই`, ভুল করেছিলেন দিদি, বিরোধীদের নিয়ে বিস্ফোরক কল্যাণ
অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়েও সরব হন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,আমি অনুব্রতকে ডিফেন্ড করছি না। করবও না। দল বলেছে যে যার নিজের মত কাজ করবে। কিন্তু প্রশ্ন তো আসবে যে অনুব্রত বাংলাদেশের বর্ডারে কি গরু কাঁধে করে নিয়ে গিয়েছিল?
বিধান সরকার:গোরুপাচার মামলায় সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। বর্তমানে নিজাম প্য়ালেসে তাঁকে জেরা করছে সিবিআই। অনুব্রত গ্রেফতারের পর রাস্তায় নেমে পড়েছে সিপিএম ও বিজেপি। গুড়-বাতাসা বিলি করতে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি, সিপিএম চ্যাঁড়া পিটিয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে প্রচারে নেমেছে। বিরোধীদের এইসব প্রচার নিয়ে আজ চুঁচুড়ার ঘড়ি মোড়ের এক সভায় সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূল সাংসদ এদিন বলেন, একটা ভুল মমতাদি করেছিলেন। আমার তো এখন তেমনটাই মনে হয়। দিদির সমালোচনা করা উচিত নয়। কিন্তু এরকম কথা আমার আগে মনে হয়নি তাই বলছি। তৃণমূলের স্লোগান ছিল বদলা নয় বদল চাই। এর পরিবর্তে বদলার বদলে বদলা হওয়া উচিত ছিল। ক্ষমা করবেন মমতাদি। আমি বলে ফেললাম। আপনি যে মানসিকতা নিয়ে বলেছিলেন সেই মানসিকতার লোক বিরোধী দল নয়। আপনার হৃদয় অনেক বড়। তাই আপনি বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই।
আরও পড়ুন-এবার কেন্দ্রের নিয়োগেও বেনিয়ম? দিল্লির কাছে হলফনামা তলব হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট খাদিনা মোড়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। এনিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির মিছিল থেকে তৃণমূল বিধায়কের উপরে হামলা চালানো হয়। এনিয়ে কল্যাণ বলেন, আর একবার যদি তৃণমূলের কোনও জনপ্রতিনিধির উপরে হামলা হয় তাহলে ভবিষ্যতে আমকা আমাদের কন্ট্রোলে রাখতে পারব না। যা ইচ্ছে মুখে আসবে তা বললে ছাড়ব না। বাকস্বাধীনতা আমাদের রয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের সংযত রেখেছি। আজ সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস যেভাবে নোংরামি করছে তাতে আমাদের আগেই বলা উচিত ছিল বদলের পরিবর্তে বদলা নিতে হবে। আমরা তা বলিনি। কোনও বদাা নিইনি।
অনুব্রতর গ্রেফতারি নিয়েও সরব হন কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন,আমি অনুব্রতকে ডিফেন্ড করছি না। করবও না। দল বলেছে যে যার নিজের মত কাজ করবে। কিন্তু প্রশ্ন তো আসবে যে অনুব্রত বাংলাদেশের বর্ডারে কি গরু কাঁধে করে নিয়ে গিয়েছিল? প্রমাণ করতে পারবেন?কটা গরু দেখেছেন? সেটা সাদা গরু ছিল না কালো গরু ছিল? লেজ টা কেমন ছিল? ইডির মুখ দেখে সবকিছু চলে না। আমারও কিছু পড়াশোনা আছে। ঘুষের টাকা! কজন এসে বলবে যে আমি ঘুষ দিয়েছি? কে বলবে বলুন? যে ঘুষ দেয় সেও আইনের প্যাঁচে পড়বে। আইন অনুযায়ী জেলে যেতে হবে। এগুলো মেরিটের ব্যাপার। অনুব্রত মণ্ডলের যাঁরা আইনজীবী তারা আর্গুমেন্ট করবেন। এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। অ্যারেস্ট করেছেন ভালো কথা। কিন্তু প্রমাণ করার দায়িত্ব আপনার। দিনের পর দিন এই ভাবে ফেলে রাখতে পারেন না। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অ্যারেস্ট করে জেলে রেখেছিলেন। মদন মিত্রকেও অ্যারেস্ট করেছিলেন। আজও পর্যন্ত কেন প্রমাণ করতে পারলেন না। তারা দোষ করেছে কেন প্রমান করতে পারলেন না! নারদা নিয়ে গ্রেফতার করেছিলেন। কই দু-আড়াই বছর হয়ে গেল চার্জশিট ফাইল করেছিলেন। নরেন্দ্র মোদী, আপনার সরকার এই পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের তিন তিন জন মানুষকে পরোক্ষভাবে খুন করলেন। সিবিআই আর ইডির ভয় দেখিয়ে, কেস ঝুলিয়ে রেখে সুলতান আহমেদ, তাপস পাল ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের মানসিক ভাবে নির্যাতন করেছেন।