Cow Smuggling: সায়গল হোসেনকে এবার দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা! আসানসোলের আদালতে ইডি
সায়গলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে কলকাতার নিউটাউনে সায়গল হোসেনের নামে ৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে ২টি ফ্ল্যাট সায়গলের প্রাথমিক শিক্ষিকা স্ত্রীর নামে কেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনভাবে আরেকটি ফ্ল্যাট সায়গলের বাড়ির পরিচারিকার নামে কেনা হয়েছে
বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: গোরুপাচার মামলায় আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগের রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। অনুব্রত মণ্ডলও ওই একই জেলে রয়েছেন। সূত্রের খবর তাদের কাছে থেকে বিশেষ কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আদায় করতে পারেনি ইডি। তাই এবার সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কেন্দ্রীয় আর্থিক দুর্নীতি তদন্তসংস্থা। মঙ্গলবার কলকাতা থেকে আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে আসেন ইডির আইনজীবী ভাস্কর মুখোপাধ্যায় ও এক মহিলা আইনজীবী। সায়গল হোসেনকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন তারা জমা দেন বলে সূত্রের খবর। বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর সঙ্গে তাদের বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তাও হয়। তবে এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন-জলাশয়ে মিলল স্কুলপড়ুয়ার দেহ! ত্রিকোণ প্রেমের জেরে খুন?
উল্লেখ্য, গোরুপাচার মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ যেসব লোকজনের বিপুল সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এই সায়গল হোসেন। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন এই নিরাপত্তারক্ষীর কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস পেয়েছে ইডি। এমনটাই সূত্রের খবর। জমি, ফ্ল্যাট ছাড়াও সায়গল হোসেন বিপুল জমির মালিক। ফলে একজন নিরাপত্তারক্ষী কীভাবে ওই বিপুল সম্পত্তির মালিক হলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইডি। মনে করা হচ্ছে অনুব্রতর টাকা বেনামে রয়েছে সায়গলের নামেই। গতকাল ইডি আদালতে আবেদন করে যে তারা সায়গলের স্ত্রী ও মা-কে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায়। এরপরই আজ সায়গলকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ব্যপারে দরবার করল ইডি।
সায়গলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে কলকাতার নিউটাউনে সায়গল হোসেনের নামে ৩টি ফ্ল্যাট রয়েছে। এর মধ্যে ২টি ফ্ল্যাট সায়গলের প্রাথমিক শিক্ষিকা স্ত্রীর নামে কেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনভাবে আরেকটি ফ্ল্যাট সায়গলের বাড়ির পরিচারিকার নামে কেনা হয়েছে। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, নিউটউনের তিনটি ফ্ল্যাট থেকেই প্রচুর জমির দলিল ও সোনার গয়নার সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফ্ল্যাট থেকে কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বেশিরভাগ সম্পত্তি-ই সায়গল কিনেছেন মা ও স্ত্রীর নামে। কেন পরিচারিকার নামে ফ্ল্যাট কেনেন সায়গল? এটা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
গোরু পাচার মামলায় সায়গল হোসেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের এই দেহরক্ষীর মাধ্যমেই প্রভাবশালীদের হাতে বিপুল পরিমাণ টাকা পৌঁছে গিয়েছিল। সায়গলকে জেরা চলাকালীনও কলকাতায় নিউটাউনে তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। তখনই ফ্ল্যাটে প্রচুর সোনার হদিস পাওয়া যায়।