নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্গা পুজোর ক্লাবকে কেন অনুদান, প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে ফের জনস্বার্থ মামলা করেছিল সিটু নেতা। মামলাকারী সৌরভ দত্তের আশঙ্কা এতে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতা নষ্ট হবে। বুধবার এই মামলার শুনানি ছিল। মামলা শোনেন বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জির ডিভিশন বেঞ্চ। আজ মামলার শুনানিতে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়,


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১. অনুদান কি শুধু দুর্গাপুজোতেই দেয় সরকার? নাকি অন্য উৎসবেও দেওয়া হয়? ঈদেও কি দেওয়া হয়েছিল? দুর্গাপুজো নিয়ে আমরাও গর্বিত, কিন্তু তাই বলে কি যেভাবে ইচ্ছা টাকা দেওয়া যায়? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কি এই ভেদাভেদ করা যায়? 


২. আপনারা (সরকার) বলছেন যে এই টাকা দেওয়া হচ্ছে মাস্ক-স্যানিটাইজার কেনার জন্য। এটা তো সরকার নিজেই কেন্দ্রীয়ভাবে কিনে করতে পারত। তাতে খরচ কম হতো। 


৩. যেখানে সংক্রমণের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ সেখানে পুজোর অনুমতি কী ভাবে দিলেন? 


৪. কী কী সুরক্ষা বিধি মেনে চলছেন আপনারা?


৫. ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্লু-প্রিন্ট কী?


৬. সব কাজ পুলিস করলে ক্লাবকে টাকা দেওয়ার কী যুক্তি?


উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দুর্গাপুজো কমিটিগুলোকে ১০,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। এতে সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার ক্ষতি হবে এই অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন দুর্গাপুরের সিটু নেতা সৌরভ দত্ত।


মামলার পর বয়ান বদল করে রাজ্য। জানায় যে, ট্রাফিক পুলিসের "সেফ ড্রাইভ- সেভ লাইফ" প্রোজেক্টেই এই টাকা দিচ্ছে সরকার। অবশেষে, মামলায় স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়। রাজ্য ও কলকাতা পুলিসের মাধ্যমে টাকা দেওয়া যাবে বলে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদলত। তবে এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি।


ধর্মনিরপেক্ষতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য পুরোহিত ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়। সেইসঙ্গে এবার দুর্গাপুজো কমিটিকে দেবে ৫০,০০০ টাকা করে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। আর তার জেরেই ফের মামলা এবং শুনানি।  আইনজীবী সালোনি ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি আদালতে বুধবার জমা দেবেন তারা।