বিক্রম দাস ও পিয়ালি মিত্র: বিস্ফোরণের পর পালিয়ে গিয়েছিলেন এগরা খাদিকুল গ্রামের বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ভানুর খোঁজ মিলল ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই ভর্তি ভানু। তবে হাসপাতাল থেকে তাকে আনার পরিস্থিতি নেই। এমনটাই খবর সিআইডি সূত্রে। ওড়িয়া পুলিসকে তার উপরে নজর রাখতে বলল সিআইডি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এগরা বিস্ফোরণে জঙ্গিযোগ! অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ


ভানু বাগকে আটক করা না গেলেও তার স্ত্রী, ছেলে ও ভাইকে আটক করেছে পুলিস। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণের পরই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন বিস্ফোরণের পর ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছেন ভানু বাগ। ঘটনার ২ দিন পর তার খোঁজ পেয়ে গেল পুলিস। তার বিরুদ্ধে গতকালই এফআইআর করেছে পুলিস।


সিআইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভানুর দেহের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছে। তাই তাকে এখনই গ্রেফতার করা যাবে না। বিস্ফোরণের পর ভানু ওড়িশায় পালিয়ে গিয়েছেন এমন একটা খবর ছিল সিআইডির কাছে। সেই সূত্রে ওড়িশায় খোঁজখবর শুরু হয়। শেষপর্যন্ত জানা যায় কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ভানু বাগ। ওড়িশা পুলিস নজর রাখবে ভানুর উপরে। অবস্থা স্থিতিশীল হলে ভানুকে গ্রেফতার করা হতে পারে। ভানুর ছেলে ও স্ত্রীকে জেরা করে সেইদিন কী হয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে সিআইডি। রাজ্য তদন্ত সংস্থা সূত্রে খবর, ভানুর মুখ, হাত ও পা পুড়ে গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে সিআইডি।


ওই বিস্ফোরণে এখনওপর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের দাপটে উড়ে যায় ভানুর বাজি কারখানার চাল। যারা সেখানে কাজ করছিলেন তাদের দেহ ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে উড়ে এসে পড়ে পাশের পকুরে। কী থেকে এত বড় বিস্ফোরণ তা ভানুর ছেলে ও ভাইকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছে পুলিস। চিকিত্সকরা যতক্ষণ পর্যন্ত না ভানু সম্পর্কে ফিট সার্টিফিকেট দিচ্ছেন ততক্ষণ তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে। ২০২০ সালের পর থেকে ভানুর কারখানার লাইসেন্স রিনিউ করা হয়নি। তার পরেও কীভাবে ভানু কারখান চালাচ্ছিলেন সেটাই এখন জানার বিষয়।


ভানুর খোঁজ মেলা নিয়ে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ভানু বাগ বাঘের মতোই আছে। পুলিস এখনও তার গায়ে হাত দেয়নি। কিন্তু ওকে ধরে আনলেও সাজা হবে কীভাবে? মামলায় যে ধারা দেওয়া হয়েছে তাতে ২০০ থেকে ১০০০ টাকা ফাইন হবে। ২-৪ মাস জেলে থেকে বেরিয়ে পড়বে। ওর ছাড়া পাওয়ার রাস্তা তৈরি করে রেখেছে পুলিস। হাসপাতালে এক মাস থাকবে, জেলে একমাস থাকবে তারপর বেরিয়ে যাবে। সরকার যদি না চায় তাহলে এরকমই হবে। সরকার এনিয়ে সিরিয়াস নয়। কারণ পুলিস ওখান থেকে টাকা খেত।


অন্যদিকে, এনিয় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ভানু বাগ বলে যে লোকটি সে আগে সিপিএম করতো। সিপিএম থেকে সে অধিকারি প্রাইভেট লিমিটেডের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল হল। তারপর যখন অধিকারীদের কোম্পানিতে বিজেপির সাইনবোর্ড লাগল তখন তখন সে বিজেপি হয়ে গেল। পঞ্চায়েতটাও বদলে যাওয়া বিজেপি। সেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে। ওখানে কোনও বোমার কারবার ছিল বলে কোনও খবর আসেনি। 


কুণালের ওই মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভানু কোন পার্টির কী তা বলে লাভ নেই। উনি বিজেপি নয়, টিএমসিতে ছিলেন। সিপিএমের অনেক হার্মাদ এখন তৃণমূলে ঢুকে গিয়েছেন। উনি যদি বিজেপি হতেন তাহলে এতদিন তার দোকান তুলে দিত। ওখান বিজেপি নয় নির্দলের পঞ্চায়েত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)