অয়ন ঘোষাল: দিল্লির মৌসম ভবন ২০২৩-কে ‘এল নিনো’ বছর হিসেবে চিহ্নিত করেছে। প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যভাগে অবস্থিত এই এল নিনো এফেক্ট এবার গোটা দেশে কাঙ্ক্ষিত মাত্রার থেকে কম বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে। এল নিনো এফেক্ট মূলত উষ্ণতর আবহাওয়া সূচক। ফলে শীতের পথে এবার বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এল নিনো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অর্থাৎ শীত তার চিরাচরিত নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে আসতে পারে। পরিচিত জাঁকিয়ে শীত এবার অধরা থাকতে পারে। বা মাত্র কয়েকদিনের জন্য শীতের আমেজ দিয়ে তা তড়িঘড়ি বিদায় নিতে পারে। আলাদা করে উষ্ণ নভেম্বর বা ডিসেম্বর নয়। এবার গোটা শীতের মরশুম এল নিনো এফেক্ট এর জেরে তার স্বাভাবিক ছন্দ হারাতে পারে বলে অনুমান।


আরও পড়ুন: Hooghly: ক্রমাগত বাড়ছে দাম, পেঁয়াজের মালা পরে বিক্ষোভ তৃণমূল বিধায়কের


তবে হিন্দুকুশ পর্বতমালা থেকে ভারতে প্রবেশ করা তীব্র উত্তুরে হাওয়া যদি সময় বিশেষে এল নিনো ফ্যাক্টরের থেকে বেশি প্রভাবশালী বা শক্তিশালী আকার নেয়, তাহলে সাময়িক ভাবে এল নিনো এফেক্ট কাজ করার ক্ষমতা হারাবে। তাই প্রকৃত শীতকাল অর্থাৎ ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে এই বিষয়ে আর বেশি কিছু বিশদে বলা কঠিন।


আরও পড়ুন: LIVE: 'বিজেপি আমাকে ফাঁসিয়েছে,আমি নির্দোষ,খুব তাড়াতাড়ি ছাড়া পাব,' দাবি জ্যোতিপ্রিয়র


এই বছর নভেম্বরের প্রথম দিনটি গত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ রাত দেখেছে, যেখানে পারদ ২৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এটি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ডিগ্রি বেশি। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ন্যূনতম তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যাওয়ার পরে নভেম্বরের প্রথম দিকের রাতের তাপমাত্রা হঠাৎ বদলে গিয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে যে সপ্তাহান্তে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস স্পর্শ করার পরে এই গরম আরও বাড়তে পারে।


আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের (আরএমসি) পরিচালক জি কে দাস বলেছেন, ‘বঙ্গোপসাগর থেকে ইস্টারলি বাতাসের প্রবেশের কারণে রাতের গরম বৃদ্ধি পেয়েছে’।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)