নিজস্ব প্রতিবেদন:  হাড় হিম ঠান্ডায় সন্ধ্যার পর থেকে শুনশান রাস্তা। সারাদিনের খাটুনির পর সন্ধ্যায় বাড়িতে বসে লেপ-কম্বলের নীচে কিছুটা উষ্ণতার পরশ খোঁজার চেষ্টা করছেন সকলেই। কিন্তু বাঁকুড়ার মাদারবনি,রতনপুরের বাসিন্দাদের সেই সুখ কপালে জুটছে কই! সূয্যি ডুবতেই হাজির হচ্ছেন ওঁরা। আর তাঁদের তাণ্ডবে রীতিমতো রাতের ঘুম ছুটছে গ্রামবাসীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিজেপির সংকল্প যাত্রার অনুমতি দিল না পুলিস
গত কয়েকদিন ধরে বাঁকুড়ার মাদারবনি, রতনপুর, দালানগোড়া, গেঙ্গারি, চিঙ্গানী-সহ বিভিন্ন গ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল। খাবারে খোঁজে রোজই সন্ধ্যায় গ্রামে ঢুকছে দাঁতাল দল। হস্তিকূলের পায়ের চাপে নষ্ট হচ্ছে বিঘার পর বিঘা ফসল। লাফিয়ে বাড়ছে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। বাধ্য হয়ে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা উপেক্ষা করে রাত জাগছেন গ্রামের মানুষ।



আরও পড়ুন: মদ্যপানের প্রতিবাদ, মাটিতে ফেলে ২ অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি!
দিনরাত চলছে ফসল পাহারা দেওয়ার কাজ। রাতের অন্ধকারে মশাল জ্বালিয়ে হাতি তাড়াচ্ছে হুলা পার্টি। খাবারের খোঁজে দলমা থেকে বাঁকুড়ায় হাতিদের চলে আসা কোনও নতুন ঘটনা নয়। গত বছর বন দফতরের তত্পমরতায় হাতি সেভাবে ঢুকতে পারেনি। এবার নতুন রুটে সারেঙ্গা ও রাইপুর হয়ে বাঁকুড়ায় হাজির দলমার হস্তিকুল। বনদফতর সূত্রে খবর মোট ১৬টি হাতি ঢুকেছে। কীভাবে সামাল দেবে পরিস্থিতি, তা নিয়ে চিন্তিত বনকর্মীরাও। আপাতত এই হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় মশাল হাতে রাস্তায় ঘুরে রাত্রিযাপনেই অভ্যস্থ হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।