সৌরভ চৌধুরী: হাতির হামলা থেকে কোনওক্রমে প্রাণ বাঁচল বাস যাত্রীদের। চালকের উপস্থিত বুদ্ধির দৌলতেই এ যাত্রায় রক্ষা। শনিবার ঝাড়গ্রামের ধূমসাই থেকে বেলপাহাড়ির দিকে যাচ্ছিল একটি যাত্রীবোঝাই বেসরকারি বাস। পথে নয়াগ্রামের ধোবানীশোল বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসতেই রাস্তায় উদয় হয় একটি বিশাল হাতি। বাসটিকে দেখেই সেটি তেড়ে আসে যাত্রীবোঝাই বাসের দিকে। তেড়ে এসে সেটি সজোরে মাথা দিয়ে ধাক্কা মারে বাসের দরজায়। সেই ধাক্কা কোনওক্রমে সামলে নেয় বাসটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাতি দেখেই বাস ছেড়ে পালায় কন্টাকটর ও হেল্পার। এদিকে বাসের মধ্যে তখন আতঙ্কে চিত্কার করছেন যাত্রীরা। সেই চিত্কার শুনে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তাদের চিত্কার শুনে খানিকটা পিছু হঠে গজরাজ। আর সুয়োগবুঝে বাসটির মুখ ঘুরিয়ে দ্রুত চম্পট দেন বাসের চালক।


বাসচালকের বক্তব্য, যে ভাবে জঙ্গল সাফ করে ফেলা হচ্ছে তাতে হাতিরা এই আচরণ করছে। খাবার না পেয়ে লোকালয়ে চলে আসছে হাতির দল। কিছুদিন আগে জামবনি ব্লকের ঘুটিয়ার কাছে এভাবেই একটি বাসের উপরে হামলা চালায় হাতি।


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি থানার আমজোড়ে এক ব্যক্তিকে পিষে মারে এক জংলি হাতি। গত বুধবার রাতে নিজের বাড়ির সামনেই চোলাই নিয়ে মত্ত হয়ে গিয়েছিলেন দুই বন্ধু। ব্যাস এসে হাজির হাতির দল। পাশেই জঙ্গলে থাকা হাতি গন্ধ পেয়েছিল চোলাইয়ের। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সোজা চোলাইয়ের আসরে হাজির হয়ে যায় চুপিসারে। দুই বন্ধুর একজন বিষয় বুঝতে পেরে কোন ভাবে পালাতে সক্ষম হলেও অপর যুবক অজিত মাহাতো(২৮)বেশি মত্ত থাকায় পালাতে সক্ষম হয়নি। হাতি তাকে সেখানেই আছড়ে মেরে ফেলে।


এদিন সন্ধ্যা থেকে একটি হাতির দলটি পাশের শিমূলডাঙ্গা এলাকায় ছিল। রাত একটা নাগাদ আমজোড় গ্রামে প্রবেশ করে। স্থানীয়রা বুঝতে পেরে তাকে অন্যত্র তাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওই সময় রাত দুটো নাগাদ গ্রামের একটি বাড়িতে বসে অজিত এবং তার বন্ধু চোলাই মদ পান করছিল। দুজনেই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বন্ধু পালাতে সক্ষম হলেও অজিত পালাতে না পারায় তাকে শুঁড়ে ধরে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।


আরও পড়ুন-পার্থর কাছে পৌঁছে দিতেন, অর্পিতার গাড়ির স্টিয়ারিং ছিল তাঁর হাতে, বিস্ফোরক ড্রাইভার


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)