নিজস্ব প্রতিবেদন : হাওড়ার হাতি ছাড়া হল পুরুলিয়ায়। ঘুম পাড়িয়ে লরি করে জামাই আদরে বান্দোয়ানের জঙ্গলে ছাড়া হল হাতি দুটিকে। তবে জঙ্গলে দলছুট দুই হাতি আদৌ মানাতে পারবে তো? নাকি আবার ঢুঁ লোকালয়ে? উদ্বেগ পিছু ছাড়ছে না বনদফতরকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, রাজ্যের মানুষের অসুবিধা-অভিযোগ সরাসরি ফোনে শুনবেন প্রধানমন্ত্রী, অভিনব উদ্যোগ বিজেপির


হওড়ার জগত্‍বল্লভপুরে ঢুকে পড়েছিল দুটি দাঁতাল। বেশ ভালোই দাপাচ্ছিল তারা। আতঙ্কে ঘুম ছুটেছিল এলাকাবাসীর। এর আগে মেদিনীপুর আর হুগলীতেও ঘোরাঘুরি সারে দাঁতাল দুটি। অবশেষে বনদফতরের উদ্যোগে ট্রাঙ্কুলাইজ করা হয় তাদের। তারপর বেশ যত্নআত্তি করে দুটি লরিতে করে তাদের ছাড়া হল বান্দোয়ানের জঙ্গলে।


আরও পড়ুন, বিধায়ক খুনের জের, জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা জোরদারের ভাবনা শাসকদলের


বুধবার রাত ৯টা নাগাদ মাকপালি এলাকায় আনা হয় হাতিদুটিকে। হাতি দেখতে ভিড় জমে যায়। সাদর অভ্যর্থনা জানাতে তৈরি ছিল বনদফতরও।  আলো, ক্রেন, জল ও হাতির পছন্দের খাবার নিয়ে রেডি ছিল তারা। হাওড়াতেই ট্রাঙ্কুলাইজ করা হয়েছিল হাতিদুটিকে। এরপর ভোররাতে বেঁহুশ অবস্থাতেই জঙ্গলে নামানো হয় তাঁদের।


আরও পড়ুন, শীত বিদায়, এবার খালি পারদ চড়ার পালা, জানাল হাওয়া অফিস


তবে ঘুম ভাঙাতে বেশ কিছুক্ষণ সময় যায়। স্নান করিয়ে ঘুম ভাঙানো হয় হাতিদুটির। তবে ঘুম ভাঙার পরেও একজন চোখ খুলেই শুয়ে থাকে। আরেকজন ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে ঘণ্টাখানেক। দীর্ঘ অপেক্ষার পর জঙ্গলে যায় হাতিদুটি।  তবে জঙ্গলে হাতি গেলেও উদ্বেগ রয়েই গিয়েছে। আদৌ হাতি দুটি তাদের দলে আর ফিরতে পারবে কি না? নাকি ফের আবার লোকালয়ে চলে আসবে? সেটাই ভাবাচ্ছে বন দফতরকে। স্থানীয়রাও বলছেন, জঙ্গল কমে যাওয়াতে লোকালয়ে চলে আসছে হাতি। বেচারাদে আর দোষ কী?