পার্থ চৌধুরী: ভবতোষের ভাবনাচিন্তা অনেক বেড়েছে। কবি ও বাচিক শিল্পী ভবতোষ দাশ সস্ত্রীক বাংলাদেশ থেকে সম্মানিত হয়েছে বাংলায় ফিরেছেন সদ্য কয়েকমাস। ঘটনাচক্রে তারপর থেকেই বাংলাদেশ অশান্ত।  এখনকার বাংলাদেশ যে কোনো সচেতন মানুষের শিরপীড়া। সাম্প্রদায়িক, মানবতা বিরোধী শক্তি সেখানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। একের পর সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা এপারের মরমী মানুষকে উন্মনা করেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- Tollywood Actress: 'বাচ্চাটা হার্টফেল করে চলে গেল', মধ্যরাতে বাজির বিকটশব্দে 'সন্তান'হারা টলি অভিনেত্রী...


ওপারেও যে বাংলাদেশ, এপারেও সেই বাংলা। মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে প্রগতির শক্তি বারবার ফুঁসে উঠেছে ওপার বাংলায়। এখন তারা যেন একটু দমে গেছেন। তবু ওপার বাংলার কথা বললে বাঙালির বেদনা চিনচিন করে ওঠে। ভবতোষ দাশ একজন আকাশবাণীর পরিচিত শিল্পী। দেড়শোর বেশি নাটক রয়েছে তার। জগন্নাথ বসু, উর্মিমালা বসু, পার্থ ঘোষ, গৌরী ঘোষের স্নেহভাজন ভবতোষ কয়েকটি টেলিড্রামা এবং সিনেমাতেও মুখ দেখিয়েছেন। রয়েছে তার পরিচিত কবিতার বই। স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন সংবাদপাঠ, সঞ্চালনা করেছেন। তবে করোনা ভবতোষের পরিচয়কে আরো ব্যাপ্তির দিকে এগিয়ে দেয়।


কোভিড কালে ভবতোষ ও তাঁর স্ত্রী ঘরবন্দী ছিলেন। কিন্তু শিল্পী মানুষ সৃষ্টির আকাঙ্খা থেকে বেছে নেন সমাজমাধ্যমকে। বাংলাদেশের কবিদের কবিতা, নিজের ও এপারের কবিতা পাঠ করে তাকে দৃশ্যশ্রাব্য মোড়কে মুড়ে পেশ করেন। খুলে যায় দু বাংলার সেতু। ওই বাংলার লেখক শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ নতুন মাত্রা পায়। তারপর ডাক পান লালনের দেশ কুষ্টিয়া থেকে। 


কবি ও বাচিক শিল্পী ভবতোষ দাস ও তাঁর সহধর্মিণী অপর্ণা  কিছুদিন আগেই  বাংলাদেশের কুষ্টিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বঙ্গীয় শিল্প সাহিত্য সংসদের আহ্বানে সম্মানিত হয়ে বর্ধমান শহরে ফিরেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি তাঁকে গভীর ভাবে মর্মাহত করেছে। তিনি বললেন, বর্তমান বাংলাদেশের প্রশাসনিক মাৎস্যন্যায় চলছে, যে নানারকম অত্যাচারের খবর আসছে, এ ছিল তাঁর কল্পনাতীত। ভাবতে পারেননি ওদেশের  কিছু মানুষের মনে বাসা বেঁধে আছে বিভেদের এই সাম্প্রদায়িক বিষ।


আরও পড়ুন- Bangladesh: ভারত হাসিনাকে ফিরিয়ে না দিলেও আমরা আলোচনা করব! বদলের বাংলাদেশের সুর নরম?


তিনি জানান, কুষ্টিয়ার  কয়েকটি সংগঠনে তিনি বাচিক শিল্পের উপর সেমিনারও করেছেন।আসা যাওয়া থাকা খাওয়া নিমন্ত্রণে তাদের বিখ্যাত আথিতেয়তা দেখেছেন। ঘুণাক্ষরেও বোঝেন নি ওই দেশের একাংশের  মানুষের মধ্যে  বিদ্বেষী এতো বিষ পোষা আছে। যে দেশের মরমী মানুষরা দাওয়াত দিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আদর যত্নে আতিথ্য দিয়েছেন সেই দেশেই  মানবতার এই ক্ষয় কবিকে যন্ত্রণা দেয়। কবি ও তার সহধর্মিণী অপর্ণাদেবী জানান, কয়েকটি দিনের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়  আপ্লুত ও মুগ্ধ হয়ে তারা দেশে ফিরেছিলেন।


বর্তমান বাংলাদেশের অসহনীয় পরিস্থিতি তার চিন্তার বাইরে ছিল। অভাবনীয় এই কর্মকান্ড তাঁকে মর্মান্তিক কষ্ট দিচ্ছে। তিনি মানসিক বিপর্যস্ত। তিনি আশা করেন, শীঘ্রই ওদেশের লুণ্ঠন কারী মানুষেরা পিছু হটবেন, জয় হবে মানবিক চেতনার। তিনি চান, মানবিকতার জয় নেমে আসুক মুক্তিযুদ্ধে জয়ী  বাংলাদেশে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)