নিজস্ব প্রতিবেদন: ‘তোষণ’ নয়, অপরাধীদের ধর্মীয় রং না দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাল শহরের মুসলিম নাগরিকদের একাংশ। এরকমই এক অনুরোধপত্রে সাক্ষর করেছেন ৫০ জন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-জ জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফলপ্রকাশ, দুপুর ২টো থেকে এই ওয়েবসাইটগুলিতে দেখা যাবে ফল


চিঠিতে দুটি ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে কর্তব্যরত চিকিত্সককে নিগ্রহ এবং দ্বিতীয়টি রাতের কলকাতায় প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্তের ওপরে হামলা। দুটি ক্ষেত্রেই জড়িতরা ঘটনাচক্রে মুসলিম। এতে তাঁরা বিব্রত বলে জানিয়েছেন ওইসব নাগরিকরা। চিঠিটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন মুদার পাথেরিয়ার।



চিঠি লেখা হয়েছে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার ক্ষেত্রে দুটি পথ খোলা রয়েছে। একটি হল, ধর্ম না দেখে অপরাধীদের কড়া সাজা দেওয়া। মুসলিম বলে এরা যাতে ছাড়া না পায় তা নিশ্চিত করা। কেননা রাজ্য সরকার মুসিলমদের তোষণ করছে, রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে এরকমই একটি ধারনা তৈরি হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস যে মুসলিমদের কোনও ভাবেই আড়াল করছে না তা এভাবেই প্রমান হবে।


দ্বিতীয় যে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে তা হল এনিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।



আরও পড়ুন-GDP-র নিরিখে বিশ্বের ৫ নম্বর অর্থনীতি হওয়ার পথে এগোচ্ছে দেশ: রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ


উল্লেখ্য, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্রে করে তোলপাড় হয়ে ওঠে গোটা দেশ। চিকিত্সকদের আক্রমণ করেন রোগীর পরিবারের লোকজন। দোষীদের শাস্তি ও চিকিত্সকদের নিরাপত্তার দাবিতে দেশের একাধিক রাজ্যে কর্মবিরতি পালন করেন চিকিত্সকরা। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় চিকিত্সকদের কর্মবিরতি উঠে যায়। ঘটনাচক্রে চিকিত্সকদের মারধরের ঘটনায় জড়িতরা মুসলিম। অভিযোগ ওঠে সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেই তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার।


অন্যদিকে, সোমবার গভীর রাতে কলকাতার এক্সাইড মোড়ে হামলার শিকার হন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত। ওই ঘটনায় ৭ মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, ময়দান থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওই ঘটনা ঘটলেও অভিযোগ, থানায় গিয়ে সাহায্য পাননি তিনি। গভীর রাত পর্যন্ত দড়ি টানাটানির পর অবশেষে চারু মার্কেট থানায় দায়ের হয় অভিযোগ।