নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদ্যুত্‍ চুরি রুখতে গিয়ে মার খেলেন অফিসাররা। রাজ্য বিদ্যুত্‍ বণ্টন নিগমের অফিস ভাঙচুর করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিল উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিসও। চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি। ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সরিষা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে প্রেমিকের চড়, আত্মঘাতী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় এবি কেবলিংয়ের কাজ চলছিল। এই কেবল লাগালে বিদ্যুতের হুকিং সম্ভব নয়। এনিয়ে এলাকায় অসন্তোষ ছিলই। মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামে অভিযানে বিদ্যুত্‍ নিগমের আধিকারিকরা। ধরা পড়ার ভয়ে হুকিংয়ের তার খুলতে গিয়ে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে এক গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়। এরপরই অসন্তোষ বদলে যায় জনরোষে। ক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হন বিদ্যুত্‍ দফতরের অফিসে। অবাধে ভাঙচুর চলে। গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। বাধা দিতে গিয়ে বেদম মার খেতে হয় বিদ্যুত্ দফতরের আধিকারিকরা।


আরও পড়ুন: মাত্র ২০টাকার মাশুল! ভাইপোকে তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে থেঁতলে ‘খুন’ করল কাকা


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকার নামে পুলিস ও র্যাফ। পুলিসকে দেখে আরও ক্ষেপে ওঠেন গ্রামবাসীরা। পুলিসকে লক্ষ্য করেই চলতে থাকে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিসকে। এলাকা থমথমে। চলছে পুলিসি টহল। 


ঘটনার প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিদ্যুত্্মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী সবার ঘরেই আলো পৌঁছে দিতে চান। তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবাই সত্ পথেই বিদ্যুত পরিষেবা নিন। এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়।'