নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরে এসেছেন তাঁরা। সঙ্গে রয়েছে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া ফিট সার্টিফিকেটও। তবুও কার্যত একঘরে হয়ে রয়েছেন একদা করোনা আক্রান্ত মালদার ১২ জন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদার ইংরেজবাজারের মিল্লি এলাকার বাসিন্দা ওই ১২ জন বাসিন্দা। কাজের সূত্রে ভিনরাজ্যে থাকতেন তাঁরা। মালদায় ফেরার পর জেলা স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের লালারস পরীক্ষা করেন। তাঁদের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ায় পুরাতন মালদা নারায়ণপুরে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিত্সার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা।


অভিযোগ, গ্রামের ফেরার পরও গ্রামের একাংশ বাসিন্দা তাঁদের ঘরে ঢুকতে বাধা দেন। পরে স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া ফিট সার্টিফিকেট দেখানোর পর ঘরে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হলেও সামাজিক বয়কটের ফরমান দেওয়া হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষ তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন না, দুর্ব্যবহার করছেন। এরপর তাঁরা ইংরেজবাজারের মিল্কি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিজাম আলির দ্বারস্থ হন।


আরও পড়ুন- আমফান বিধ্বস্তদের বিজেপির ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার, জখম ১১


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিকের কথায়, "আমরা এখন সুস্থ রয়েছি। তবুও গ্রামের লোক সেটা বুঝতে চাইছে না। আমাদের বাড়ির লোককেও একঘরে করে রেখেছেন, কথাই বলছেন না কেউ।" বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান নিজাম আলিও। তিনি বলেন, "প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। তবে আশা করি খুব দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাবে। মানুষ প্রথমে আতঙ্কে বিষয়টি বুঝতে চাইছেন না।"


করোনার কারণে খুব চেনা প্রতিবেশীরাও আজ যেন অচেনা ওঁদের কাছে। করোনা বাধ সেধেছে সম্পর্কে। খুব তাড়াতাড়ি ফের আগের মতোই হয়ে যাক সব সম্পর্ক, আশাবাদী ওই ১২ শ্রমিকের পরিবার।