জামাই পার্বণে ম্রিয়মাণ মাছ বাজার, জলের দরেও বিক্রি হল না ইলিশ-চিংড়ি
ফোনে আশীর্বাদ জানিয়ে কর্তব্য সেরেছেন তাঁরা। আর এরই প্রভাব পড়েছে জামাইষষ্ঠীর বাজারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: খদ্দের নেই। জলের মাছ বলতে গেলে জলের দরে। মহামারী আর ঝড় বিধ্বস্ত বাংলায় জামাইষষ্ঠী ম্রিয়মান। মেয়ে-জামাই কেউই আসতে পারেনি। শুধু পুজো দেওয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রইল এবারের জামাইষষ্ঠী। ইলিশ-চিংড়ি দিয়ে পুত্রসম জামাইকে আপ্যায়নের বালাই এবার নেই।
দেশে প্রতিদিন গড়ে ছ-হাজারের ওপর আক্রান্তের হার। বেশির ভাগ মানুষ খুব দরকার ছাড়া বাইরে বেরনোর সাহস দেখাচ্ছেন না। মেয়ে জামাইকে নিরাপদ রাখতে শ্বশুর শাশুড়িরাও বাড়িতে আসতে কোনও জোরাজুরি করেননি। ফোনে আশীর্বাদ জানিয়ে কর্তব্য সেরেছেন তাঁরা। আর এরই প্রভাব পড়েছে জামাইষষ্ঠীর বাজারে।
এদিন ট্যাংরা ৩০০ টাকা কেজি, এক কেজি কাতলা ২৫০ টাকা। জ্যান্ত পাবদা ৪০০ টাকা কেজি। অথচ অন্যান্যবার জামাইষষ্ঠীতে মাছের বাজার মানেই আগুন। তেলে ভরা ইলিশ, পেল্লায় পমফ্রেটের বেশির ভাগই পড়ে রইল বাজারে। করোনা মহামারী আর আমপান বিধ্বস্ত বাংলায় অনেকের পাতে একবেলার খাবার জুটছে না। জামাই পার্বণের আতিশয্যও উধাও।