Chiranjeet Chakraborty: যাঁরা নীতি মানছেন না তাঁদের পেছনেই এখন ইডি-সিবিআই, বিস্ফোরক চিরঞ্জিত্
চিরঞ্জিতের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কোথায় আছেন জানি না। মাঝে মাঝে বিবৃতি দিয়ে জানান দেন। টিএমসির অনেক নেতাই এখন বিবৃতি দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জেলা পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। গোরুপাচার মামলায় আসানসোলের জেলে ঠাঁই হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। আরও অনেকের নামে অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। এনিয়ে এবার মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত্ চক্রবর্তী। রবিবার বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বারাসতের বিধায়ক বলেন, সবাই রাজা হতে চাইছেন। কেউ নীতি মানছেন না। যারা নীতি মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে হচ্ছে ইডি-সিবিআই। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, রাজনীতি হল রাজার নীতি। সবাই এখন রাজা হতে চাইছেন কিন্তু নীতি মানছেন না। এখানেই সমস্যা। যত মানুষ নীতি মানবে না ততই তাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই দৌড়বে। ইডি-সিবিআইকে কালই আমি ফোন করতে পারি, আসুন আমাদের বাড়িতে চা খাবেন।
আরও পড়ুন-আইপিএল-এর মেগা নিলাম, কবে ও কোথায়? জেনে নিন
চিরঞ্জিতের ওই মন্তব্যের পাল্টা দিয়েছেন বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উনি কোথায় আছেন জানি না। মাঝে মাঝে বিবৃতি দিয়ে জানান দেন। টিএমসির অনেক নেতাই এখন বিবৃতি দিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছেন। ওদের পার্টিটাকে এখন ভগবানই দেখছেন। সিনিয়ার লিডাররা এখন গুঁতোগুঁতি করছেন। কুণালবাবু পার্থবাবুকে দিয়ে এটা শুরু করেছিলেন। সুদীপবাবু ও তাপসবাবুর মতো সিনিয়ার লিডার নিজেদের মধ্যে লড়াই করছেন। এরা যে ধরনের তরজা করছেন তাতে পার্টিটার আর কিছু বাকী আছে বলে আমার মনে হয় না।
উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরই কুণাল ঘোষ বলেন যার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে তাকেই এনিয়ে জবাব দিতে হবে। সাংবাদিক সম্মেলন করে এখানেই থেমে থাকেননি কুণাল। তিনি আরও বলেন, জেলে ঢুকে দেখুন কেমন লাগে। একসময় পার্থবাবু আমাকে পাগল বলেছিলেন। জেল কর্তৃপক্ষ যেন পার্থবাবুর সঙ্গে সাধারণ কয়েদির মতো আচরণ করেন। কুণালের ওই মন্তব্যের পর কিছুটা চমকে যায় রাজনৈতিক মহল।
রবিবার চিরঞ্জিতের মন্তব্য নিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, বারাসতের এমএলএ আসলে তো এমএলএ নন। সিনেমার লোক। কোনওভাবে এদিক ওদিক করে এমএলএ হয়েছেন। মানুষের সঙ্গে উনি সম্পর্ক রাখছেন কিনা আমি জানি না। মানিক ভট্টাচার্য সহ তৃণমূলের নেতারা এত খাওয়া খেয়েছেন যে তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে বারাসতে গিয়ে হাজির হয়েছে। এখন চিরঞ্জিতের পছন্দের লোকদের কাছে সেই টাকা কেন গেল না জানি না। বিজেপি, তৃণমূলের লোকজনের কানে গিয়ে বলুন ইডি, দেখবেন চমকে উঠছে। এত অপরাধ এরা করেছে যে ইডি-সিবিআইয়ের কথা শুনে এরা চমকে উঠছে।