চম্পক দত্ত: বাম আমলে তাঁর পরিচিত ছিল দাপুটে নেতা হিসেবে। ঝড়গ্রাম হাসপাতালে কোনও রোগী বেড না পেলেই খবর যেত 'দীবা'-দার কাছে। সেই ডাকাবুকো বাম নেতা ও বিধায়ককে বেডের অভাবে হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকতে হল টানা ১৮ ঘণ্টা। একরাশ দুঃখ নিয়ে বাম নেতার আক্ষেপ, 'এর নামই উন্নয়ন?'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সিপিএম জমানায় ২০১১-২০১৬ পর্যন্ত ৫ বছর বিনপুরের বিধায়ক ছিলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা দীবাকর হাঁসদা। স্বাস্থ্য বিভাগের সরাসরি কোনো দায়িত্বে না থাকলেও বরাবর ঝাড়গ্রাম সহ প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের রোগীদের পাশে থেকেছেন তিনি। রোগীরা বেড না পেলে হাসপাতালের সুপারের কাছে তদবির করেছেন বেডের জন্য। তবে সেসব এখন অতীত। রাজ্যে পালাবদল হয়েছে। ভোল বদলেছে হাসপাতালগুলির। তৈরি হয়েছে ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং। কিন্তু সেই সিপিএম নেতাকে অসুস্থ শরীর নিয়ে আজ পড়ে থাকতে হল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতে।



প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে গলব্লাডার স্টোন অপারেশনের জন্য তাকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেল সার্জিক্যাল ওয়ার্ডে। তবে অত্যধিক রোগীর চাপ থাকায় শয্যা মেলেনি। নিজের গাঁটের কড়ি খরচ করে প্লাস্টিকের চাদর কিনে মেঝেতেই থাকতে হয় তাঁকে। 


বর্তমানে তিনি সিপিআইএমের ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। এলাকায় এখনও পরিচিত বাম নেতা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার অপারেশন হতে পারে এই বাম নেতার। বাম বিধায়কের পরিচয় জানতে পেরে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গতকালই তার জন্য নির্দিষ্ট শয্যার ব্যবস্থা করে দেয়।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রচুর রোগীর চাপ সেক্ষেত্রেও সবার পরিচয় জানা সম্ভব হয় না এবং সবাইকে বেড দেওয়াও সম্ভব হয় না। যখনই জানতে পারা গেছে যে উনি প্রাক্তন বিধায়ক সঙ্গে সঙ্গে তাঁর শয্যার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন-শৌচকর্মের সময় অন্তর্বাসে থাকা টাকার বান্ডিল সোজা সেপটিক ট্যাঙ্কে! উদ্ধারে নেমে মৃত ২ ভাই


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)