কিরণ মান্না: এসএসসি নিয়ে হাইকোর্টের আজ ঐতিহাসিক রায়ের পর যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মঙ্গল কামনায় বর্গভীমা মন্দিরে পুজো দিলেন এবং সেই সকল যোগ্য প্রার্থীদের হয়ে মায়ের কাছে মঙ্গল কামনা করলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিনি বলেন, ‘আজকের এই হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পরে আমি আজকে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে এসেছি উভয় সম্প্রদায় অর্থাৎ হিন্দু মুসলিম সকলের হয়ে প্রার্থনা করলাম’।


তিনি বলেন, ‘যাদেরকে শিক্ষিত যুবক যুবতীদের ঠকিয়েছে প্রবঞ্চনা করেছে এই মমতা ব্যানার্জি সরকার, চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে সেই সকল চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আমি মায়ের কাছে তাদের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করলাম। ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুক’।


তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশা করব এই রাজ্য সরকার যতই নির্লজ্জ হোক হাইকোর্টের রায় মেনে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব মূল্যায়নের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি দেবে’।


এই নিয়ে মমতা ব্যানার্জি মঞ্চ বেঁধে কান ধরে উঠবস করবেন ক্ষমা চাইবেন বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন: Purulia News: গ্রামে নেই নলকূপ, সারা বছরই জলকষ্ট, নদীর বালি খুঁড়ে জল সংগ্রহে গ্রামবাসীরা!


কল্যাণ ব্যানার্জিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এবং আমি এও বলব তার যারা পন্ডিতরা আছেন আইনজ্ঞ সব বলেন তাঁরা আবার তাঁকে মিসগাইড করবেন না। আদালতের রায়কে মেনে নিয়ে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে চাকরি দেবেন’।


প্রাক্তন বিচারপতি আরও বলেন, ‘আমি শুধু সার্ভিস কমিশনের উপর বিশ্বাস রাখি যিনি কমিশনের এখন চেয়ারম্যান তিনি যোগ্য মানুষ বলে আমার মনে হয়েছে। তিনি আমি যখন আদালতে বিচারক ছিলাম আমার কাছে অর্থাৎ আদালতের কাছে বহুবার এসেছেন। আমার আশা তিনি এটা দ্রুত করবেন রেকমেন্ডেশন লেটার তাদের হাতে দ্রুত পৌঁছে যাবে।’


আরও পড়ুন: Lok Sabha Eletion 2024 | Adhir Chowdhury: 'অধীর তৃণমূলের বি টিম', কটাক্ষ শুভেন্দুর; এবার থানায় ডাক পড়ল অধীরের...       


অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে বলেছেন আমি শুনেছি। ও একটা অশিক্ষিত আইনজীবী ছিল। সে কী করে হাইকোর্টের আইনজীবী হয়েছিল সেটাই এখন অনেক আইনজীবীর মনে প্রশ্ন’।


তিনি আরও বলেন, ‘তিনি যতদিন জজ ছিলেন ততদিন কোন জাজমেন্ট রিপোর্টেড। আইনজীবী হিসেবে ভালো মামলা করেছে তার কোনও জাজমেন্ট রিপোর্ট হয়নি’।


তিনি বলেন, ‘যখন হাইকোর্টের জজ ছিল তখন বিজেপির সঙ্গে লাইন করে বিজেপিতে চলে গিয়েছে। কী করে চাকরি খাওয়া যায়? তার চক্রান্ত করেছিল। এখন চোর, ডাকাত, গুন্ডা দলের সরদার হয়েছে। তাকে আমার চ্যালেঞ্জ কতটা আইন জানে আমি দেখতে চাই। যদি তিনি সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে মামলা করুক আমার বিরুদ্ধে দেখি ও কত বড় আইনজীবী। মুখ দিয়ে ভালো করে কথা বলতে পারে না। যখন জজ ছিল তখন ক্ষমতা দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে কাজ করেছে। তারা এখন সাংসদ হওয়ার জন্য লড়াই করছে। মানুষের রিজেক্ট করা উচিত। ধান্দাবাজ বিচার ব্যবস্থার কলঙ্ক। এরা দেশের কলঙ্ক।’


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)