নিজস্ব প্রতিবেদন : তোলাবাজির অভিযোগ উঠল উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল নিমতার নন্দননগর এলাকায়। উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যাণ করের অনুগামীদের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অভিযোগ, অতি সম্প্রতি ব্যাগ ব্যবসায়ী অপু দত্ত নন্দননগর এলাকায় একটি বাড়ি কেনেন। তারপর থেকেই তাঁর কাছে তোলা চাওয়া শুরু করেন প্রাক্তন পুরপ্রধানের অনুগামীরা। মোট ৫ লাখ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি ফোন আসে ব্যাগ ব্যবসায়ী অপু দত্তের কাছে। টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। পরে চাপে পড়ে ৫০ হাজার টাকা দেন তিনি।


কিন্তু অভিযোগ, তারপরেও দাবি কমেনি। বরং দিনে দিনে তা বৃদ্ধি পায়। টাকা চেয়ে হুমকি ফোন আসতেই থাকে। শেষে শনিবার রাতে অপু দত্ত যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন তাঁর পথ আটকায় প্রাক্তন পুরপ্রধানের অনুগামীরা। পথ আটকে টাকা দাবি করে তারা। টাকা দিতে অস্বীকার করলে, ব্যবসায়ীর কাছে থাকা ২ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়।


আরও পড়ুন, মেয়ে-জামাই মিলেই খুন করেছে মাকে! প্রতিবেশীর বয়ানে বেহালা হত্যাকাণ্ডের পর্দাফাঁস


পাশাপাশি অপু দত্তের গলায় থাকা ৪ ভরির একটি সোনার চেনও ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। এমনকি বন্ধুকের বাট দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। গোটা ঘটনায় নিমতায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত ব্যবসায়ী। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে কল্যাণ কর বলেন, "অপু দত্ত ৩ তলা বাড়ির অনুমোদন চেয়ে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন। কিন্তু আমি অনুমতি দিতে রাজি হইনি। এখন বিজেপি আশ্রিত কিছু লোক এই ঘটনায় মদত দিচ্ছে। পুলিসকে বলেছি, যে যে যুক্ত আছে তাদের গ্রেফতার করার জন্য।"


তোলাবাজির ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের বর্তমান পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তীও। তাঁর বক্তব্য, "মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেহেতু কাটমানি ফেরত দেওয়ার কথা বলেছেন, সেই সুযোগ নিয়ে বিজেপি ও এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী আমাদের জনপ্রতিনিধিদের বদনাম করার জন্য এইসব অভিযোগ করছেন। ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধেও আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। আইন আইনের পথে চলবে।"