নিজস্ব প্রতিবেদন : নতুন ফসল উঠতেই আলুর দর তলানিতে। ফলে হিমঘর থেকে পুরনো আলু বার করতে নারাজ চাষিরা। ওদিকে স্থান সংকুলান না হওয়ায় পুরনো আলু বাইরে বার করে দিয়েছে হিমঘর কর্তৃপক্ষ। সেখানে কিছুটা খেয়েছে গবাদি পশু। বাকিটা পচছে পড়ে পড়ে। ভরা শীতে ফের একবার একই সমস্যায় জেরবার আলুচাষিরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে বছরে ৫৫ থেকে ৬০ লক্ষ মেট্রিক টন আলুর প্রয়োজন হয়। ওদিকে রাজ্যে আলুর ফলন প্রায় ৯০ থেকে ৯২ লক্ষ মেট্রিক টন। এখন চলতি বছরে রাজ্যে আলুর রেকর্ড ফলন হয়েছে। এই মরসুমে রাজ্যে মোট উত্পাদিত আলুর পরিমাণ ১ কোটি মেট্রিক টন ছাড়িয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার আলু রফতানি করতে দেয়নি বলে অভিযোগ চাষিদের। ফলে বাড়তি আলু রয়ে গিয়েছে হিমঘরগুলিতে। সেই আলু এখুনি তুলতে নারাজ চাষিরা।


এখন সাধারণত প্রতি বছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে খালি করে দেওয়া হয় হিমঘরগুলি। কিন্তু এবার ফলন বেশি হওয়ায় হিমঘর খালি করার সময়সীমা আরও একমাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়। এদিকে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও হিমঘর থেকে আলু নিয়ে যেতে নারাজ চাষিরা। কারণ, আলুর মন্দা বাজার। রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চলতি মরশুমে বাজারে আলুর দর ওঠেনি।


আরও পড়ুন, চারুচন্দ্র কলেজের ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না : শিক্ষামন্ত্রী


হিমঘরে ৫০ কেজি আলু রাখার খরচ ৮৩ টাকা ২৫ পয়সা। পাইকারি বাজারে সেই আলুর দর ১১০ থেকে ১২০ টাকা। এই ২০-২৫ টাকা লাভের মধ্যে রয়েছে  যাতায়াত খরচ, একইসঙ্গে থাকছে কিছু নষ্ট আলু। এত কম লাভের অঙ্কে হিমঘর থেকে আলু নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না চাষিরা। এদিকে, সময় পেরিয়ে যাওয়ায় হিমঘর থেকে আলু বাইরে বের করে দিয়েছেন গুদাম মালিকরা। ফলে বাইরে পড়েই পচছে উদ্বৃত্ত আলু।