নিজস্ব প্রতিবেদন: রেহাই পাননি খোদ শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (Jakir Hossain)। মুর্শিদাবাদের নিমতিতা (Nimtita) স্টেশনে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হন তিনি। সেই ঘটনার তদন্ত চলাকালীন এবার বোমা উদ্ধার হল ফরাক্কায় (Farakka)। এদিন সকালে সাঁকোপাড়া হল্ট স্টেশনে দুটি লাইনের মাঝে বস্তাবন্দি অবস্থায় বোমাগুলি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। ইতিমধ্যেই বোমাগুলি উদ্ধারও করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত ১৭ ফ্রেরুয়ারি রাতে কলকাতা আসার ট্রেন ধরার জন্য নিমতিতা (Nimtita) স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন শ্রম দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন (Jakir Hossain)। সঙ্গে ছিলেন দলের কর্মী-সমর্থক ও অনুগামীরা। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে হামলার মুখে পড়েন তিনি। বিস্ফোরণে মারাত্বক জখম হন মন্ত্রী। বাঁ-পা-সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। আহত হন আরও ২৪ জন। ঘটনার তদন্তে নেমে আবু সামাদ ও শহিদুল ইসলাম নামে দু'জনকে আটক করে CID। আবুর বাড়ি মুর্শিদাবাদেরই সুতিতে, আর শহিদুল ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, জোরালো তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের আটক করা হয়েছিল। ছেড়ে দেওয়ার পর এদিন ২ জনকেই গ্রেফতার করল CID। সূত্রের খবর, আবু সামাদ ও শহিদুল ইসলামের সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু নিমতিতা স্টেশনে কেন বিস্ফোরণ ঘটানো হল? কে বা কারা টার্গেট ছিলেন? ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। 


আরও পড়ুন: স্ত্রীকে মেরে হাইওয়েতে ফেলে উধাও স্বামী, গাড়িতে রক্তের দাগেই পর্দাফাঁস নাকা চেকিং-এ


প্রসঙ্গত, নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণে IED ব্যবহারের তত্ত্বেই শিলমোহর দিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।  তদন্তকারীদের জানানো হয়েছে, রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলায়  প্রশিক্ষিত হাতে তৈরি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন IED ব্যবহার করা হয়েছে। সঙ্গে ছিল অ্যান্টি হ্যান্ডিং ডিভাইস। এমনকী, এই ঘটনার সঙ্গে JMB  বা অন্য কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সূত্র মারফৎ এমনই খবর পাওয়া গিয়েছে।