নকিবউদ্দিন গাজি: সিবিআই অফিসার সেজে এলাকা দাপিয়ে বেড়াত হানিফ সরদার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তিতে অনেকেই তার ঠাটবাঁটকে সমীহ করতেন। সেই হানিফই এখন পুলিসের জালে। সিবিআই অফিসার সেজে টাকা তোলার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করল উস্তি থানার পুলিস। কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ হয়েছে হানিফের বিরুদ্ধে। পুলিসের কাছে খবর আসে সিবিআই অফিসার সেজে টাকা তুলেছে উস্তির এক ব্যক্তি। সেই খবর পাওয়ার পর বুধবার উস্তিতে তার বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। দেখা যায় হানিফ সরদারের বাড়ির সামনে দাঁড় করানো রয়েছে একটি অল্ট্রো গাড়ি। তাতে সিবিআই-এর স্টিকার সাঁটা। তাকে আটক করে জিজ্ঞসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পড়ুন- বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা



পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে এসেছে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত হানিফ। তার কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সিবিআইয়ের একটি ভুয়ো পরিচয়পত্র, দেড় বিলিয়ন টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার ভুয়ো রসিদ ও ওই অল্ট্রো গাড়িটি। তদন্তে উঠে এসেছে, টাকা ডবল করে দেওয়ার নাম করে সে টাকা তুলত। আর মানুষকে নিজের প্রভাব বোঝানোর জন্য নিজেকে সিবিআই অফিসার হিসেবে পরিচয় দিত। এবার বাজার থেকে তুলেছিল লাখ লাখ টাকা। বৃহস্পতিবার তাকে ডায়মন্ডহারবার এসিজেএম আদালতে তোলা হতে তাকে ১০ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হানিফের সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা তদন্তে করে দেখছে পুলিস।


গতবছর জুলাই মাসে ভুয়ো সিবিআই অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃত ওই যুবকের নাম শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ি হাওড়ার জগাছায়। শুভদীপের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিহারের বাসিন্দা লালন নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানান, সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নিয়েছিল শুভদীপ। দেড় বছর হয়ে গেলেও চাকরি তো হয়নি, এমনকী লকডাউনের দোহাই দিয়ে টাকাও ফেরত দেয়নি অভিযুক্ত। লালনের কাছেও নিজেকে CBI-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে পরিচয় দিয়েছিল শুভদীপ। এমনকী লকডাউনের দোহাই দিয়ে নিজের অফিসও লালনকে দেখায়নি সে। 


ওই জুলাই মাসেই চিত্তরঞ্জনের এক প্রতারককে ঝড়খণ্ডের দুমকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। ওই প্রতারকের নাম মুন্না ডোম ওরফে মুন্না সিং। কখনও সিবিআই অফিসার, কখনও পুলিস, কখনও মানবাধিকার সংগঠনের আধিকারিক, কখনওবা সাংবাদিক সেজে মানুষকে ঠকিয়েছে চিত্তরঞ্জনের ওই ঠগ। কাউকে চাকরি দেওয়ার নাম করে, কাউকে আবার সিবিআই অফিসার হিসেবে ব্ল্যাক মেইল করে বিপুল টাকা তুলত মুন্না। এমনটাই মনে করছে পুলিস। চাকরি দেওয়ার নাম করে একজনের কাছে থেকে ৩০-৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল মুন্না। তার পরেই সে চিত্তরঞ্জন ছেড়ে পালিয়ে যায়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)