ওয়েব ডেস্ক: জাল মেডিক্যাল ডিগ্রি চক্র। দুই-একদিনের মধ্যেই গ্রেফতার হতে চলেছেন বেশ কয়েকজন রাঘব বোয়াল। জেরায় ডাকা হতে পারে আলিপুর দুয়ারের CMOH-কে। স্ক্যানারে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ডিরেক্টর। আরও এক স্বাস্থ্যকর্তার নাম জেনেছেন তদন্তকারীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন কাইজার আলম। দ্বিতীয়জন খুশিনাথ হালদার। এঁরা ডাক্তার। ভুয়ো ডাক্তার। আরও এক দুর্নীতির চক্র ফাঁস করেছে CID। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় কাইজার আলমকে। বৃহস্পতিবারই আলিপুরদুয়ারের বীরপাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় খুশিনাথ হালদারকে। ডিগ্রি ছাড়াই ন্যাশনাল হেল্‍থ স্কিমের ডাক্তার হিসেবে দিব্যি কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন দু'জন। অপঘাতে মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত না করেই ডেথ সার্টিফিকেট লেখার অভিযোগ রয়েছে দুজনের বিরুদ্ধে। আরও একাধিক অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসায় দুই ডাক্তারকে গ্রেফতার করে CID ।


শনিবার দুজনকে গ্রেফতার করে ভবানীভবনে আনা হয়। টানা জেরায় উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধৃতেরা জেরায় জানিয়েছে, ২০১১ সালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের এক ডিরেক্টর তাদের ভুয়ো MBBS ডিগ্রি ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ব্যবস্থা করে দেয়। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত ওই ডিরেক্টর ও তাঁর ছেলে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে ভুয়ো ডিগ্রি দেয় বলে জানিয়েছে ধৃত দুই ভুয়ো ডাক্তার। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকজন ডাক্তার এভাবেই ভুয়ো ডিগ্রি ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর পেয়েছেন বলেও জেরায় জানিয়েছে ধৃতেরা।


সেই ভুয়ো ডাক্তারদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে CID। স্ক্যানারে রয়েছেন আরও কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্তা। জাল মেডিক্যাল ডিগ্রি চক্রের শিকড়ে পৌছতে আলিপুর দুয়ারের CMOH কে জেরায় ডাকবে CID। আলিপুর দুয়ারের CMOH ২০১১ সালে জলপাইগুড়ির ডেপুটি CMOH ছিলেন। ভুয়ো ডাক্তারের নিয়োগে জলপাইগুড়ির ডেপুটি CMOH-এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে তদন্তে জানতে পেরেছে CID । জেরায় আরও এক স্বাস্থ্যকর্তার নাম জানা গেছে যিনি বর্তমানে স্বাস্থ্য দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। আর এক জেলার CMOH-এর স্বামীও জাল মেডিক্যাল ডিগ্রির চক্রে জড়িত বলে সূত্র পেয়েছে CID  ।


সিআইডি সূত্রে খবর, জাল মেডিক্যাল ডিগ্রি চক্রে জড়িত সন্দেহে কয়েকদিনের মধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে। ধৃত দুই ভুয়ো ডাক্তারকে CID হেফাজতে পাঠিয়েছে বিধাননগর আদালত।