তারকেশ্বরে রোড সেফটি অর্গানাইজেশনের ভুয়ো অফিস সিল করল পুলিস, গ্রেফতার ২
ওই সংস্থা দাবি করত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁদের শংসাপত্র দিয়েছেন। সেই শংসাপত্র দেখিয়েই প্রতারণা জাল বিস্তার করেছিল জালিয়াতরা
নিজস্ব প্রতিবেদন: রোড সেফটি অর্গানাইজেশনের একটি ভুয়ো অফিসের সন্ধান মিলল তারকেশ্বরে। অফিস সিল করে ২ জনকে আটক করল তারকেশ্বর থানার পুলিস।
আরও পড়ুন-ভুয়ো নামে ব্ল্যাকমেল? ক্যারাটে খেলোয়াড়ের মৃত্যুতে আসল অভিযুক্তের খোঁজে পুলিস
পুলিস সূত্রে খবর, তারকেশ্বরের বৈদ্যপুর এলাকায় তারকেশ্বর-বৈদ্যবাটি রোডের কাছেই একটি দোতলা বাড়িতে রোড সেফটি অর্গানাইজেশনের বোর্ড লাগিয়ে চলতো প্রতারণা। স্থানীয়দের দাবি, গত ৬ মাস ধরে রোজ ৫০-৬০ জন ছেলেকে ওই বাড়িতে ট্রেনিং দেওয়া হতো। তার কেউই স্থানীয় নয়। কেউ বাঁকুড়ার, কেউ বা মেদিনীপুরের বাসিন্দা। সোমবার সন্ধেয় ওই অফিসে কোনও একটি কারণে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। আজ দুপুরে পুলিস ওই অফিসে ঢুকে ২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে সুমন পালের বাড়ি কালনার বিতেরা গ্রামে এবং অন্যদিকে আনন্দের সরেন নামে অন্যজনের বাড়ি খানাকুলে।
উল্লেখ্য, রোড সেফটি অর্গানাইজেশনের নাম করে প্রতারণার করার অভিযোগ মঙ্গলবার মেমারি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৮ জনকে। এদিন পালসিটে সংস্থার নামে একটি মিটিং চলাকালীন গ্রেফতার করা হয় ওই আট জনকে। জানা যাচ্ছে জাতীয় সড়কে চাকরি দেওয়ার নামে করে রাজ্যজুড়ে ৩ হাজার যুবক যুবতীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তদের জরা করেই তারকেশ্বরের অফিসের সন্ধান পায় পুলিস।
আরও পড়ুন-কেতাদুরস্ত মদনকে দেখে এগিয়ে গিয়ে দিলীপ বললেন, 'তৃণমূলে একজনই হিরো'
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ওই সংস্থা দাবি করত রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁদের শংসাপত্র দিয়েছে। সেই শংসাপত্র দেখিয়েই প্রতারণা জাল বিস্তার করেছিল জালিয়াতরা। একাধিক অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিস। এরপরই ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়া বাজেয়াপ্ত হয়েছে ৭ টি মোবাইল, ১ টি গাড়ি এবং বেশ কিছু স্ট্যাম্প ও শংসাপত্র।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)