নিজস্ব প্রতিবেদন : দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটছেন? আপনি নিশ্চিত তো যে, কোনও প্রতারণার খপ্পরে পড়ছেন না! কারণ বিভিন্ন প্রান্তে টিকিট করিয়ে দেওয়ার নামে চলছে দেদার জালিয়াতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কাটতে আর স্টেশনে যান? নাকি কোনও সাইবার কাফেতেই পেয়ে যাচ্ছেন টিকিট? সাবধান! যেকোনও দিন কিন্তু বিপদে পড়তে পারেন। হয়তো ট্রেনে উঠতে গিয়ে দেখলেন আপনার হাতে থাকা ই-টিকিটের কোনও অস্তিত্ত্বই নেই। ভাবছেন সে আবার হয় নাকি? হ্যাঁ হচ্ছে তো। আগে বিক্রি হয়ে যাওয়া টিকিটেই বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীর নাম। PNR-এ বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে মনগড়া কতগুলি নম্বর। নিখুঁত কারসাজি আপনি ধরতেও পারবেন না। যখন ট্রেনে উঠবেন তখন বুঝবেন আপনি। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।


কিন্তু কেন হচ্ছে এমনটা?
অনলাইনে টিকিট কাটা তো বেশ সহজ। IRCTC-র সাইটে গিয়ে সহজেই কাটা যায়। কিন্তু IRCTC ছাড়াও তো অনেকগুলি ট্রাস্টেড অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। সেগুলিকেই ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছে প্রতারকরা। ঠিক যেমনটা হয়েছে হলদিয়া আর ভদ্রেশ্বরে। হলদিয়ায় তো রীতিমতো সাইবার কাফে খুলে চলছিল প্রতারণা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হানা দিতেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে এল বেড়াল।


হলদিয়ার ক্যাফে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৫টি ভুয়ো ই-টিকিট। যার আনুমানিক মূল্য ১৮,৩১৫ টাকা। উদ্ধার হয়েছে ৮১টি ছাপা তত্কাল টিকিট। যার মূল্য আনুমানিক আড়াই লাখ টাকা। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি কম্পিউটার, দুটি সিপিউ,একটি প্রিন্টার ,মোবাইল ফোন, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের লেনদেন কপি। তার সঙ্গে IRCTC-র পাঁচটি ফেক আইডি। জালিয়াতির অঙ্কটা প্রায় উনিশ লক্ষ টাকা।


অন্যদিকে ভদ্রেশ্বরে ট্রাভেল এজেন্সি চালানোর আড়ালে জাল টিকিটের ব্যবসা ফেঁদেছিল দুই প্রতারক। তাদের কাছ থেকে তিনটি ল্যাপটপ,একটি ডেস্কটপ, দুটি প্রিন্টার,মোবাইল ও বেশ কিছু দূরপাল্লার ট্রেনের জাল টিকিট উদ্ধার হয়েছে।