অনুপ কুমার দাস: সোমবার মিজোরামে এক পাথর খাদানের ধসে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। আরও ৪ জন এখনও নিখোঁজ। সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার রেশ এসে পৌঁছল নদিয়ায়। কারণ এখনওপর্যন্ত মৃত ৮ জনের মধ্যে রয়েছে নদিয়ার ৪ যুবক। সেই খবর গ্রামে আসতেই কান্নার রোল পড়ে গিয়েছে ওইসব পরিবারে। মৃত ওই ৪ যুবকের মধ্যে রয়েছে তেহট্টের কালীতলা পাড়ার ৩ জন। এরা হল রাকেশ বিশ্বাস, মিন্টু মণ্ডল ও বুদ্ধদেব মণ্ডল। চতুর্থজন হল চাপড়ার পিবরাইগাছি গ্রামের মদন দাস নামে এক যুবক। চুক্তিভিত্তিক কাজে ওইসব যুবকরা মিজোরামের পাথর খাদানে কাজ করতে গিয়েছিল। ঘটনার খবর পেয়েই মৃতদের বাড়িতে আসেন বিডিও, এসডিও ও জেলা পুলিসের কর্তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-এক সন্তানের মায়ের সঙ্গে প্রেম-বিয়ে, ১৫ দিন সংসারের পর যুবকের রহস্যমৃত্যু


উল্লেখ্য, সোমবার রাজধানী আইজল থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে হাথাইয়াল জেলার মুদরা গ্রামের পাথার খাদানে আচমকা ধস নেমে যায়। তাতেই চাপা পড়ে যান ১২ শ্রমিক। এদের মধ্যে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ৪ জন ছিলেন এবিসিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির কর্মী। বাকী ৮ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মী। সোমবার বিকেল ৩টে নাগাদ ওই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। খবর পেয়েই উদ্ধাকার্যে নেমে পড়ে অসম রাইফেলস ও বিএসএফের উদ্ধারকারী দল।


মৃত মিন্টু মণ্ডলের বাবা মধুসুদন মণ্ডল বলেন, ও বাইক কেনার জন্য টাকা চেয়েছিল। সেই টাকা আমরা জোগাড় করতে পারিনি। সেই টাকা জোগাড় করার জন্য ও কাজে গিয়েছিল। গত মঙ্গলবার থেকে আজ এই ৮ দিন হল। এই আট দিনের মাথায় খবর পাচ্ছি ছেলে আর নেই। শুনেছি পাথর চাপা পড়ে মারা গিয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা এসেছিল। এখন আমাদের একটাই চাওয়া, দেহটা যেন ফেরত পাই। 


অন্যদিকে, বুদ্ধদেব মণ্ডলের মা বলেন, পাথার ভাঙার কাজে গিয়েছিল। আট দিন হল। আমরা গরিব মানুষ। খেটেখুটে ওই ছেলেই সংসার চালায়। ওর বাপ গতকাল ফোন করে বলল, হাজার টাকা দিস, ডাক্তার দেখাব। সেটাই শেষ কথা। জমি জায়গা নেই ওর আয়ের উপরেই সংসার চলে আমাদের। ওর দেহ আনার ক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা চাই দেহ আনার ব্যবস্থা করে দিক সরকার।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)