নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবারও থমথমে ইসলামপুরের দাড়িভিট। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। এর মধ্যেই সকালে নিহতদের বাড়ি গিয়ে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের বিধায়ক ও মন্ত্রী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন সকালে দাড়িভিটে যান ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েন নিহতদের পারিবারের লোকজন। প্রথমে তাঁরা যান নিহত তাপস বর্মনের বাড়িতে। সেখান থেকে দুই বিধায়ক যান নিহত রাজেশ সরকারের বাড়ি।


আরও পড়ুন-'চাকরি থেকে ইস্তফা দাও, না হলে গুলি খাও', পুলিশকে হুমকি হিজবুল গোষ্ঠীর


মন্ত্রীকে দেখে নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা ক্ষোভ উগরে দেন পুলিসের বিরুদ্ধে। পাড়ার মন্ত্রী আসার খবর পেয়ে আসপাশের বাড়ি থেকে লোকজন জড়ো হয় যান। সাবার একটাই প্রশ্ন পুলিস কেন গুলি চালাল। তদন্ত করতে হবে সিবিআইকে দিয়ে।


মন্ত্রী গোলাম রব্বানি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। তিন বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা এটি। নিহতদের শোকগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে আমরা রয়েছি। গোলাম রব্বানি আরও বলেন, কারা গুলি চালিয়েছে তা খুঁজে বের করতে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে। দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে। ডিআইকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, হেড মাস্টার ও পরিচানল কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গোটা ঘটনায় স্কুল পরিচালন কমিটি ও হেড মাস্টারের দোষ রয়েছে।


আরও পড়ুন-পরিবারপিছু মিলবে বছরে ৫ লাখ, আজ বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্পের সূচনা করবেন মোদী


অন্যদিকে, ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ঘটনার পেছনে কারা রয়েছে তা খুঁজে বের করা হচ্ছে। মানুষ আমাদের ওপরে আস্থা হারাননি।


এদিকে, এদিন গ্রামে ঢোকেনি পুলিস। তারা রয়েছে গ্রাম থেকে এক কিলোমিটার দূরে। পুলিসের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ রয়েছে তা মাথায় রেখেই গ্রাম তাদের পাঠানো হয়নি। অন্যদিকে, আজ দাড়িভিটে আসছেন মুকুল রায় ও বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। গতকাল এসেছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপির প্রতিনিধি দলকে আটকানো হবে না হবেই জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।