নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনায় মৃত বাড়ি অভিভাবক। অসুস্থ বাড়ির ৪ সদস্য। কিন্তু হাসপাতালে যে নিয়ে যাবেন তার কোনও উপায় নেই। বাড়িতে করোনায় একজনের মৃত্যুর কারণে গাড়ি দিতে চাইছেন না কেউ। এমনকি প্রতিবেশীরা সরকারি কল থেকে জল নিতেও বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। মালবাজারের গজলডোবার ৭ নম্বর কলোনির ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিকাশরঞ্জনের আচরণে ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ, একলা চলতে চেয়ে মেল সোনিয়াকে   


সম্প্রতি করোনায় মৃত্যু হয়েছে বাড়ির অভিভাবক অমল দাসের(৪৩)। তার পর থেকেই গ্রামে মানুষজন তাদের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ভয় পাচ্ছেন। এমনকি সরকারি কলেও জল নিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই দাবি মৃতের ভাই মিঠু দাসের। তিনি বলেন, দাদা বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। স্থানীয় চিকিত্সককে দেখিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পরে তাকে টোটোয় চাপিয়ে ২২ কিলোমিটার দূরে মালবাজার(Malbazar) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রবিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।


মৃতের ভাই মিঠু দাস আরও বলেন, দাদা মারা যাওয়ার পর ৪-৫ জন অসুস্থ। তাদের করোনা চিকিত্সা বা করোনা টেস্ট করানো যাচ্ছে না। কারণ আমাদের কেউ গাড়ি দিচ্ছে না। এই অবস্থায় কারও কাছ থেকে কোনও সাহায্য পাচ্ছি না।


আরও পড়ুন-মা অসুস্থ, ভর্তি এসএসকেএমে, বিকেলে দেখতে গেলেন Abhishek  


অমল দাসের ছেলে অমিত দাস বলেন, আমারও শরীর খারাপ। বাড়িতে বয়স্ক ২ জন ও মায়ের শরীর ভালো নেই। পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছি না গাড়ির অভাবে। 


এ ব্যাপারে ওদলাবাড়ি(Odlabari) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মধুমিতা ঘোষ বলেন, অসুস্থরা যাতে চিকিৎসা বা করোনা পরীক্ষা করাতে পারে, তার জন্য একটি গাড়ি ব্যাবস্থা করছি। তবে যারাই ওই পরিবারের সাথে খারাপ ব্যাবহার বা জল আনতে বাধা দিচ্ছে, সেটা ভারী অন্যায় কাজ। গ্রামের মানুষেরা দূরে থেকেও ওই পরিবারকে সাহায্য করতে পারে।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)