Birbhum: নতুন `হাঁসুলি বাঁকের উপকথা`? তারাশঙ্করের বহুচর্চিত সেই `হাঁসুলিবাঁক` এখন মাফিয়াদের দখলে!
Hansuli Banker Upakatha: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের `হাঁসুলী বাঁকের উপকথা` উপন্যাসের কুয়ে নদীর হাঁসুলির বাঁক এখন বালি মাফিয়াদের দখলে। অভিযোগ, প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেখানে প্রকাশ্যে চলছে অবৈধভাবে বালির তোলার কাজ!
প্রসেনজিৎ মালাকার: তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের লাভপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেই লাভপুরের পাশ দিয়েই বয়ে চলেছে কুয়ে নদী। আর সেই কুয়ে নদীরই এক অংশে হাঁসুলি আকৃতির একটি বাঁক রয়েছে। বিখ্যাত সেই হাঁসুলি বাঁক নিয়েই রয়েছে তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ততোধিক বিখ্যাত রচনা 'হাঁসুলী বাঁকের উপকথা'!
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় ১৯৪৬ থেকে ১৯৫১ সালের মধ্যে তাঁর এই বিখ্যাত উপন্যাসটি লিখেছিলেন। ১৯৫১ সালে বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর থেকে 'হাঁসুলী বাঁকের উপকথা' উপন্যাসটির খ্যাতি সাহিত্যমহলে ছড়িয়ে পড়ে। বলতে গেলে তারাশঙ্করের উপন্যাসের সুবাদেই বীরভূমের খুব স্থানিক এই অংশটি বিখ্যাত হয়ে পড়ে। কিন্তু লাভপুরের ভূমিপুত্র তারাশঙ্করের সেই সুবিখ্যাত ও বহুচর্চিত হাঁসুলি বাঁক এখন বালি মাফিয়াদের দখলে!
অভিযোগ, প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সেখানে দিনের পর দিন ধরে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে বালি তুলছে বালি মাফিয়ারা। বহু ট্রাক্টর নদীর পাড় কেটে নদীতে নেমে অবৈধভাবে বালি তুলছে। হাঁসুলি বাঁকের উপকথা রচনায় তুলে ধরা হয়েছে কুয়ে নদীর সাতটি বাঁকের কথা। বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে সেই নদীর পথ ঘুরে যাচ্ছে।
এর আগেও একাধিকবার বালির মাফিয়াদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও সেখানে বারবার অবৈধভাবে বালির তুলে চলেছে বালি মাফিয়ারা। এ বিষয়ে প্রশাসনের পদক্ষেপ করা উচিত বলে মনে করেন লাভপুরের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন: kartik puja 2024: এ বছর কবে কার্তিক পুজো? জেনে নিন দেবসেনাপতির অশেষ মাহাত্ম্য...
প্রসঙ্গত, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুয়ে নদীর হাঁসুলি বাঁককে পর্যটককেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ২০২১ সালে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়-সহ ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা এসে এলাকা পরিদর্শন করে যান। পর্যটককেন্দ্র কীভাবে গড়ে তোলা হবে, সেই বিষয়ে আলোচনাও হয়েছিল। পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার অনেক কাজ এগিয়েছে। বাকি কাজ করার জন্য আনুমানিক ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার একটা এস্টেমেট পাঠানো হয়েছে রাজ্য সরকারকে। পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য সেই টাকা বরাদ্দের মুখে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এহেন জায়গায় এ কী চলছে? কবে সুরাহা এর?