নিজস্ব প্রতিবেদন: একেই বলে নিয়তি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিজের জমিতে চাষ করতে গিয়েছিলেন ফটিক বাউরি। কিন্তু তাঁর আর ঘরে ফেরা হল না।  বৈদ্যুতিক তারে শক খেযে জমিতেই ঝলসে যান তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুরের বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমার বুনদরা গ্রামে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রোজকার মত ভোরবেলা জমিতে প্রথম দফার কাজ করতে মাঠে গেছিলেন ফটিক। তাঁর জমির উপর দিয়ে গিয়েছে ১১ হাজার ভোল্টের হাইটেনশন বিদ্যুতের তার। জমির উপর যাওয়া এইরকম হাইটেনশনের লাইনে একটা পোল থেকে আরেকটি পোলের মাঝের তার ঝুলে থাকে। কিন্তু ফটিকের জমিতে সেই ১১ হাজার ভোল্টের তার ঝুলে একদম নিচে চলে এসেছিল। সেটা লক্ষ্য করেননি তিনি। ফলে জমিতে কাজ করার সময় আচমকাই ১১ হাজার ভোল্টের তার ফটিকের শরীর স্পর্শ করে। ততক্ষণাত ঘটনাস্থলেই দেহ ঝলসে গিয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। 


বিকট আওয়াজ পেয়ে জমির পাশের বাড়ি থেকে মহিলারা বেরিয়ে আসেন। ততক্ষণে সব শেষ। খবর দেওয়া হয় ফটিকের বাড়িতে। তারপর গ্রামের লোক এসে খয়রাশোলের পাওয়ার শাটডাউন করে চাষির দেহ উদ্ধার করে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। 


ফটিকের মৃতদেহ রাস্তার উপর রেখে দুবরাজপুর-খয়রাশোল রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, “ইলেকট্রিক অফিসের গাফিলতির জন্য পুড়ে মরতে হল ফটিককে। দীর্ঘদিন গ্রামের প্রায় সমস্ত জমির উপর দিয়ে এইরকম বিপজ্জনকভাবে হাইটেনশনের লাইন গেছে। বারবার বলা সত্ত্বেও ইলেকট্রিক অফিসের কর্মীরা গুরুত্ব দেয়নি। তার খেসারত দিতে হল। আগে ওখানকার অফিসারদের আসতে হবে। কথা হবে। তারপর অবরোধ তোলা হবে।“ প্রায় ঘন্টা দুয়েক দুবরাজপুর-খয়রাশোল রাস্তা অবরোধ থাকার পর পুলিস এসে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে গ্রামবাসীরা অবরোধ তুলে নেন।


আরও পড়ুন : পিটিয়ে নিন, ততটাই পেটান যতটা পরে হজম করতে পারবেন, সুদে আসলে ফেরত দেব, লাল ডায়েরিতে লিখছি সব! হুমকি দিলীপের