নিজস্ব প্রতিবেদন : বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আমন ধানের চাষীরা। উত্তরবঙ্গে অতিবৃষ্টির ফলে দেখা দিয়েছে বন্যা। আর এদিকে দক্ষিণবঙ্গে প্রয়োজনের তুলনায় কম বৃষ্টি।  ফলে দুশ্চিন্তায় আমন ধানের চাষীরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অধিকাংশ এলাকা চাষের উপর নির্ভরশীল। বর্ষায় ধান চাষ করে লাভের মুখ দেখে বিস্তীর্ণ এলাকার কৃষিজীবী মানুষজন। তাই বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তা বাড়ছে। শুকিয়ে যাচ্ছে জমি। শুকিয়ে যাচ্ছে ধান গাছ। এমনকি প্রয়োজনমতো বৃষ্টি না হওয়ায় অধিকাংশ জমিতে এখনও ধানের চারা রোপণই করতে পারেননি কৃষকেরা। এই পরিস্থিতিতে এখন একমাত্র ভরসা শ্যালো বা মিনি পাম্প।


স্থানীয় কৃষিজীবী মানুষজন জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছর এই সময় ধান রোয়ার কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। কিন্তু এবছর মেদিনীপুরের কেশপুর, চন্দ্রকোণা, গড়বেতা  এলাকায় চাষের কাজ পিছিয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, এ বছর জেলায় ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধান রোপণ পিছিয়ে যাচ্ছে। 


চাষীদের দাবি এভাবেই যদি চলতে থাকে, পাম্পের জলে যদি চাষ করতে হয় তাঁদের, তাহলে আর্থিক সঙ্কট দেখা দেবে। যদিও এবিষয়ে জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মদক্ষ রমাপ্রসাদ গিরি বলেন, "পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণায় সামান্য একটু জল সঙ্কট দেখা দিলেও, অধিকাংশ জায়গায় ক্যানেলে জল পৌঁছে গিয়েছে। সেচ দফতর ও কৃষি দফতর পুরো বিষয়টির উপর নজর রাখছে।" তবে যে যাই বলুক, চাষীদের এখন একটাই চিন্তা কবে বৃষ্টির দেখা কবে পাওয়া যাবে।


আরও পড়ুন, তাস খেলায় গন্ডগোল, মাছ ব্যবসায়ীর গলা টিপে খুন করল যুবক