৪ দিনের সন্তানকে ১০ হাজারে বিক্রি করে সংসারের চাল, ডাল কিনল বাবা!
`১০ হাজার টাকা দিয়ে অন্য ছেলেদের চিকিৎসা করিয়েছি। সংসারের চাল, ডাল,চাল কিনেছি।`
নিজস্ব প্রতিবেদন : অভাবের তাড়নায় নিজের চার দিনের পুত্র সন্তানকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের নারায়ণপুরের আদিবাসী পাড়ার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সন্তান বিক্রির খবর পেয়ে এলাকায় যান কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল। শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত।
মঙ্গলকোটের পালিগ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রামের আদিবাসীপাড়ার বাসিন্দা সোম মুর্মু ও মেনকা মুর্মু। তাঁরা তাঁদের চারদিনের পুত্র সন্তানকে ২৬ অক্টোবর আউশগ্রাম থানার সর গ্রামের এক ব্যক্তির কাছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে জানা যায়। খবর পেয়েই সোম মুর্মুর বাড়িতে যান কাটোয়ার মহকুমা শাসক সৌমেন পাল। তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকা নিয়ে সন্তান বিক্রির কথা স্বীকার করে নেন সোম মুর্মু। বলেন, "ছেলে ভালোভাবে মানুষ হবে বলে দিয়ে দিয়েছি।" এমনকি সন্তান বিক্রির ১০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে, মহকুমা শাসককে দেখেই গা ঢাকা দেন মেনকা মুর্মু।
মুর্মু দম্পতির আরও তিন সন্তান আছে। তাঁদের বড় মেয়ে সোনালির বয়স ৯ বছর। সে কাঁদতে কাঁদতে ভাইকে বিক্রির কথা জানান মহকুমা শাসককে। অভাবের কথা স্বীকার করে নিয়ে সোম মুর্মু জানান, "১০ হাজার টাকা দিয়ে অন্য ছেলেদের চিকিৎসা করিয়েছি। সংসারের চাল, ডাল,চাল কিনেছি।" সোম মুর্ম জানান, বেশ কিছুদিন যাবৎ হাতে কোনও কাজ নেই। ঘরে অভাবের ছাপ স্পষ্ট। একদিন রান্না হলে, পরদিন উনুনে হাঁড়ি চড়বে কিনা, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।
আরও পড়ুন, দাদুর মৃত্যুতে 'আনন্দ' নাতিদের! ডিজে বক্স বাজিয়ে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হল বৃদ্ধকে
মহকুমা শাসক সৌমেন পাল বলেন, এভাবে টাকা নিয়ে সন্তান বিক্রি করা যায় না। তবে ওই দম্পতি সন্তান বিক্রি করেছে না কাউকে দিয়েছে সেটা জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে সন্তান উদ্ধার করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মহকুমা শাসক।