জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গরম পড়তে না পড়তেই শুরু তাপপ্রবাহ। তাপপ্রবাহের কবলে পড়তে চলেছে বাংলা এবং ওডিশার একাংশ। আগামী কাল ১৭ এবং তার পরদিন ১৮ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গের কিছু জেলা তাপপ্রবাহের কবলে পড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে। বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ চলতে পারে দুই মেদিনীপুরে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়, ঝাড়গ্রামে। তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানেও।  ১৯ এপ্রিলও তাপপ্রবাহের কবলে পড়বে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ। গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় খাতায়-কলমে তাপপ্রবাহের কোনও ঘোষণা না থাকলেও কার্যত অনুরূপ পরিস্থিতিই থাকবে বলে আশঙ্কা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Annapurna Puja | Chaitra Navratri: অভুক্ত শিব একমুঠো অন্নের জন্য কৈলাস ছেড়ে বারাণসী গেলেন! সেখানে বিস্মিত হয়ে তিনি দেখলেন...


এবং সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, তার প্রমাণ আজই দিয়ে দিয়েছে পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া। বৈশাখের প্রথম সপ্তাহেই পুরুলিয়ার তাপমাত্রা পৌঁছল ৪০.২ ডিগ্রিতে। তীব্র দাবদাহে নাজেহাল জেলাবাসী। আজ, মঙ্গলবার তাপমাত্রা ৪০.২ ডিগ্রিতে পৌঁছল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রখর রোদে নাজেহাল অবস্থা হয়ে উঠছে পুরুলিয়াবাসীর। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে নারাজ সাধারণ মানুষ। সকাল-সকালই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলছেন সকলে। ভিড় বাড়ছে ঠান্ডা পানীয়ের দোকানগুলিতে। চাঁদি ফাটা রোদ থেকে রেহাই পেতে সকলেই নাক মুখ ঢেকে, ছাতা মাথায় বাইরে বেরোচ্ছেন।


একই পরিস্থিতি বাঁকুড়াতেও। এই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা গিয়ে পৌঁছছে আরও এক ধাপ উপরে! ৪১.৫° ডিগ্রি সেলসিয়াসে! আজ সকাল থেকেই তীব্র রোদ এ-জেলায়, সঙ্গে ভ্যাপসানি গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। নিতান্ত দরকার ছাড়া মানুষজন বাইরে বেরোচ্ছেন না। সকলেই চাইছেন সকাল-সকাল কাজ সেরে বাড়িমুখো হতে। সকলের হাতেই ছাতা, চোখে রোদচশমা, শরীর আদ্যোপান্ত ঢাকা। শরীর সাময়িক ঠান্ডা করতে অনেকেই ভিড় জমাছেন ঠান্ডা পানীয়ের দোকানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গরমের তীব্রতা বাড়ছে, রাস্তাঘাট একপ্রকার ফাঁকাই। বইছে গরম বাতাস।


আরও পড়ুন: Chaitra Navratri | Durga Puja: এ বছর তিনবার দুর্গাপুজো! কেন, কীভাবে এই অসম্ভব ঘটনা সম্ভব হচ্ছে?


ভুগছে কলকাতাও। কলকাতায় চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে বিশেষত ১৮ এপ্রিলের পরে তাপপ্রবাহের অনুরূপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সকালের দিকে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় অস্বস্তি বাড়বে। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত লু-এর মতো গরম হাওয়া বইতে পারে। এই মুহূর্তে কলকাতায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা এই সময়ের স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি করে বেশি। গতকাল রাতের তাপমাত্রা ২৭.৯ থেকে আরও প্রায় ১ ডিগ্রি বেড়ে ২৮.৬ ডিগ্রিতে পৌঁছেছিল। গতকাল দিনের তাপমাত্রা ৩৭.৯ থেকে প্রায় ১ ডিগ্রি বেড়ে হয়েছিল ৩৮.৭ ডিগ্রি। কলকাতায় পারদও প্রায় ৩৯ ডিগ্রি ছুঁই ছুঁই। তাহলে জেলার আর দোষ কী?


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)