ওয়েব ডেস্ক: আগামী বছরের বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে রাজ্যের হাতিয়ার আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি। ইতিমধ্যেই শিল্পপতিদের নিয়ে বৈঠকও সেরে ফেলেছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। উন্নয়নের যাবতীয় তথ্য রাজ্য সরকারের হাতে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর্থিক উন্নয়ন ও রাজ্যের শ্রীবৃদ্ধি। এই দুইকে সামনে রেখেই আগামী বছরের বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। সোমবার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ঠিক হয়েছে, এ রাজ্যের শিল্পপতিরাই দেশ-বিদেশের লগ্নিকারীদের কাছে রাজ্যের সাফল্যের কাহিনী তুলে ধরবেন।


রাজ্য সরকারের হাতে মূল অস্ত্র অর্থ দফতরের  খতিয়ান। সেই খতিয়ান অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে  , ২০১০-১১ আর্থিক বছরে রাজ্যের GDP-র রাজকোষ ঘাটতি ছিল ৪.২৪ শতাংশ। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে সেই ঘাটতি কমে দাঁড়িয়েছে ২.৬৮ শতাংশে। 
একইসঙ্গে গত ৫ বছরে রাজস্ব ঘাটতি কমেছে অনেকটাই ২০১০-১১ আর্থিক বছরে যেখানে রাজস্ব ঘাটতি ছিল ৩.৭৫ শতাংশ ২০১৫-১৬-তে  সেই পরিমাণ এসে দাঁড়িয়েছে ১.০৩  শতাংশে। 
অর্থ দফতরের  পেশ করা খতিয়ান অনুযায়ী একইসঙ্গে রাজ্যের কর আদায় বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুন।  ২০১০-১১ আর্থিক বছরে কর আদায়ের পরিমাণ ছিল  ২১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ আর্থিক বছরে সেই কর আদায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৯২০ কোটি টাকা।   
অর্থ দফতরের দাবি, আর্থিক এই উন্নয়নের ফলে রাজ্যে লগ্নির প্রস্তাবও বেড়েছে। সেই খতিয়ানও পেশ করেছে অর্থ দফতর। 
২০১৫ সালের বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে প্রস্তাবিত লগ্নি ২ লক্ষ ৪৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই লগ্নি এসেছে ৯৪ হাজার ৩১৮.০৯ কোটি টাকা। 
২০১৬ সালের বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে প্রস্তাবিত লগ্নি ২ লক্ষ ৫০ হাজার ২৫৩.৭৪ কোটি টাকা। ইতিমধ্যেই লগ্নি এসেছে ২৫  হাজার ৯২৪.৬৬ কোটি টাকা। 
এই সমস্ত খতিয়ান তুলে ধরার পাশাপাশি কন্যাশ্রী, খাদ্যসাথী , গীতাঞ্জলি আবাসন প্রকল্প, সবুজ সাথীর মত প্রকল্পের সাফল্যের কথাও তুলে ধরতে চাইছে রাজ্য সরকার।