নিজস্ব প্রতিবেদন : পুজোর মুখে বাজি কারখানায় ভয়াবহ আগুন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক শ্রমিকের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও ১৩ জন শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে। অগ্নিকাণ্ডের পরই ঘনবসতি এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানার রমরমা কারবারে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা। পুলিসকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আগুন লাগার ঘটনায় আটক করা হয়েছে ওই বাজি কারখানার মালিককে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, "পিঠের চামড়া গুটিয়ে নুন মাখিয়ে দেব", হুমকি দিলীপের


সোনাপুরের গণ্ডগ্রাম গোবিন্দপুর। অভিযোগ, ঘনবসতি এলাকাতেই রমরমিয়ে চলছিল বাজি বানানোর কারবার। বেআইনিভাবে মজুত ছিল প্রচুর বাজি। রবিবার সেই কারখানায় হঠাত্‍ই আগুন লেগে যায়। কারখানার ভিতর দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় কারখানার ভিতরে কাজ করছিলেন ১৩ থেকে ১৪ জন শ্রমিক। অগ্নিদগ্ধ হয়ে কারখানার ভিতরেই প্রাণ হারান দেবাশিস সর্দার নামে এক শ্রমিক। গুরুতর জখম হন বাকিরা।



আরও পড়ুন, মন মতো জন্মদিন পালন হল না! অভিমানে শুভদিনেই আত্মঘাতী কিশোরী


বিধ্বংসী আগুন। নিমেষে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের বাড়িতে। পুড়ে খাক হয়ে যায় পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলি। আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জখম ব্যক্তিরা বর্তমানে বারুইপুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। আহদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। পুজোর মুখেই এমন দুর্ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।


আরও পড়ুন, গভীর রাতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, বাইক-লরির মুখোমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩


অভিযোগ, ৩ বছর আগেও এই কারখানাতেই আরও একবার আগুন লেগেছিল। কিন্তু তারপরও  টনক নড়েনি প্রশাসনের। লুকিয়ে চুরিয়ে দিব্যি চলছিল বেআইনি বাজি কারখানার রমরমা কারবার। রবিবার ফের দুর্ঘটনা ঘটতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পুলিসকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। আগুন লাগার ঘটনায় আটক করা হয়েছে বাড়ির মালিক তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে।