অর্ণবাংশু নিয়োগী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজস্ব প্রতিবেদন: নিষেধাজ্ঞা আছে, আছে নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখানোও। এবারে আলাদা করে করোনা যোগ হয়েছে বাজি পোড়ানোর নিষেধাজ্ঞায়, এই যা তফাত। না হলে প্রত্যেক বছরই বাজি নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা-পুলিশের মধ্যে চলে লুকোচুরি।


এ বারে করোনা-আবহে যাতে পরিবেশের দূষণ আরও না বেড়ে যায়, তাই অনেক আগেই হাইকোর্ট বাজিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। মনে করা যাচ্ছিল করোনা-লড়াইকে সফল করে তুলতে এ বারে অন্তত মানুষ মানবেন এই নিষেধ। 


কিন্তু কোথায় কী? হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই লুকিয়ে-চুরিয়ে দিব্য চলছে বাজি কেনাবেচা।


সেই তালিকা থেকে বাদ নেই নিষিদ্ধ বাজিও। 
তবে বাজি বিক্রির ক্ষেত্রে অনেকটাই সর্তকতা অবলম্বন করছেন বাজি বিক্রেতারা। মুখচেনা বা পরিচিত কোনও সূত্র ছাড়া কাউকেই পারতপক্ষে বাজি বিক্রি করছেন না তাঁরা। 


যেমন আমরা পৌঁছে গেলাম কাঁকুড়গাছি উপেন্দ্রচন্দ্র ব্যানার্জী রোডে। সেখানে রয়েছে একটি স্কুল এবং একটি হাসপাতালও। আর তার মাঝেই চলছে নিষিদ্ধ বাজি চকলেট বোমা বিক্রি। দোকানের মধ্যে একটি ব্যাগে লুকিয়ে রাখা রয়েছে চকলেট বোমা। ক্রেতা যাওয়ার পরে চাহিদামতো সেখান থেকে তাঁরা বের করে দিচ্ছেন। দাম নিচ্ছেন প্রতি পিস দু'টাকা।


বোঝা গেল, সর্ষের মধ্যেই ভূত। বিক্রেতারাই মানছেন না নিয়ম। ক্রেতার তো পোয়াবারো। টাকা ফেললেই পেয়ে যাচ্ছেন মনের মতো বাজি। নিষিদ্ধ বাজিও। 


পরের ঘটনা প্রগতি ময়দান থানা এলাকার সাহেববাগ। সেখানকার দোকানে ঢুকে পুলিশ তল্লাশি চালাল। বাজেয়াপ্ত হল আতসবাজি-সহ চকলেট বোমা, কালীপটকা। আটক করা হল দোকানের মালিককে। 
এ দিকে বেলেঘাটা থানা এলাকার চাউলপট্টি অঞ্চল থেকেও ৭০ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। সেই ঘটনায় মঙ্গল দেবনাথ নামে একজন গ্রেফতার হয়েছে।


অর্থাৎ, বাঙালি যে তিমিরে সেই তিমিরেই। কালীপুজোর অমাবস্যার আঁধারে বাজির ধোঁয়ায় করোনা সংক্রমণ বাড়লেও হুঁশ নেই কোনও পক্ষেরই।