নিজস্ব প্রতিবেদন : "আমরা কোনও হিংসাকে সমর্থন করি না। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে যে, বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির ‌উস্কানিতেই হিংসা হচ্ছে। হিংসা, গোলমাল এটা তৃণমূল কংগ্রেস কখনও সমর্থন করে না। আমরা গান্ধীবাদী দল। আমরা এই খুনোখুনি, মারামারিতে বিশ্বাস করি না। বিশ্বাস করে বিজেপি। যারা অত বড় দাঙ্গা গুজরাটে করে এসেছে। বিজেপি দিল্লিতেও দাঙ্গা করেছে। বিভিন্ন জায়গায় দাঙ্গা করেছে। সুতরাং খুনোখুনির রাজনীতি করে বিজেপি, আমরা করি না।" হালিশহরে বিজেপি বুথ সভাপতি খুনের ঘটনায় দিলীপ ঘোষের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা বিজেপিকেই নিশানা করলেন ফিরহাদ হাকিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একইসঙ্গেই পুরমন্ত্রীর আরও দাবি, "আমরা যতদূর শুনেছি এটা নন পলিটিক্যাল কোনও গন্ডগোলের কারণে হয়েছে। পুলিস তদন্ত করছে। তদন্ত করে দেখুক, কী হয়।" উল্লেখ্য, শনিবার রাতে বিজেপি গৃহ সম্পর্ক অভিযান চলাকালীন দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন সৈকত ভাওয়াল। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা বাঁশের মাথায় পেরেক লাগিয়ে এনেছিল। সঙ্গে ছিল হকি স্টিক ও লোহার রড। প্রায় ৬ টি বাইকে করে এসেছিল ১০ থেকে ১২ জন দুষ্কৃতী। পিটিয়ে খুন করে বুথ সভাপতি সৈকত ভাওয়ালকে। কাজ হাসিল করেই বাইকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীদল। খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বীজপুর থানার পুলিস।


খুনের পরই একের পর এক বিজেপি নেতৃত্ব শাসকদলকে উদ্দেশ করে তোপ দাগেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "মমতা ব্যানার্জির সরকার আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করছে।" যার পাল্টা জবাবে আজ কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও একহাত নেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, "আমরা কোনও আতঙ্ক করছি না। কৈলাস বিজয়বর্গীয় যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে আতঙ্ক থাকে। সেটা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশ। সেখানে চম্বলের ডাকাতরা থাকে। আতঙ্ক থাকে, গুলি করে। এখানে আতঙ্কের কোনও ব্যাপার নেই।"


একইসঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার দাবির প্রসঙ্গেও ফিরহাদ হাকিমের সাফ জবাব, "দেখুন ওদের হাতে সরকার আছে। ওদের হাতে ক্ষমতা আছে। অপব্যবহার করবে। কিন্তু তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। কারণ বাংলার মানুষ মমতা ব্যানার্জির সাথে আছেন।"


আরও পড়ুন, হালিশহর খুনে ধৃত ৩, বীজপুর থানায় বিক্ষোভ বিজেপির


এখন থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কৈলাসের, পাল্টা TMC-র