প্রসেনজিত্ মালাকার: গোরু পাচার মামলার বর্তমানে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। লটারি মামলায় আজও তাঁকে জেরা করেছে সিবিআই। বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই অনুব্রত মণ্ডলকে আজ বাঘের সঙ্গে তুলনা করলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মন্তব্য, বাঘ না থাকলে শেয়ালরা একটু হুক্কাহুয়া করে। বাঘ এলেই লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায়। বীরভূমের বাঘকে সারা জীবন আটকে রাখা যাবে না। রামপুরহাটের সভা থেকে এভাবেই অনুব্রতর পক্ষে সওয়াল করলেন ফিরহাদ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-লোকসভার আগেই পৃথক কোচবিহার রাজ্য! চাঞ্চল্যকর দাবি অনন্ত মহারাজের


শনিবার রামপুরহাটের হাসন বিধানসভার বিষ্ণুপুরে ফিরহাদের সভা ছিল। সেখানেই ফিরহাদ বলেন, বাঘকে কিছু দিনের জন্য় খাঁচায় রেখেছ। সারা জীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন ফের বেরিয়ে আসবে তখন আজ যেসব শেয়ালগুলো হুক্কাহুয়া করছে তারা সবাই পালিয়ে যাবে।


এদিকে, ফিরহাদের ওই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ডায়লগ দিয়ে এতদিন গাড়ি চলেছে। এখন বাঘ এতদিন বাঁশের খাঁচায় থাকতো। এখন লোহার খাঁচায় ঢুকেছে। খাঁচার চাবি কার কাছে রয়েছে তা খোঁজা হচ্ছে। ৯ কিলো মাত্র ওজন কমেছে। উনি ভাবছেন হয়তো আরও একটু ওজন কমলে ফুটো দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। সেটা বোধহয় সম্ভব নয়। 


অন্যদিকে,সিউড়িতে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে ফিরহাদ বলেন, তুমি যদি শান্তি চাও তাহলে আমিও শান্তিতে ভোট করব। তুমি কেঁচো হয়ে সাপের সামনে লাফালাফি করবে আর আমি চুপ করে বসে থাকব, এটা সম্ভব নয়।


উল্লেখ্য অনুব্রতহীন বীরভূম জেলা ও ব্লক স্তরের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে করেন ফিরহাদ হাকিম।। বেশ কিছুক্ষণ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন , আমি দীর্ঘ দশ বছর এই জেলার অবজারভার হিসেবে ছিলাম। জেলার নেতৃত্বের ওঠাপড়া আমি দেখেছি। তবে এখনও এই জেলার জেলা নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা যথেষ্ট স্ট্রং। অবশ্যই অনুব্রত মণ্ডল না থাকায় কিছুটা অভাব দেখা দেবে। তবে এই জেলার বাকী নেতৃত্বরা একসঙ্গে মিলে কাজ করবে। পাশাপাশি বীরভূম জেলার যেমন তৃণমূল কংগ্রেসের ছিল তেমনি তৃণমূল কংগ্রেসেরই থাকবে। আমরা প্রত্যেক নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখকে সামনে রেখে এগিয়ে যাই। এই নির্বাচনেও সেটাই হবে। এখানে সংগঠনটা আরো বেশি জোরদার হয়েছে তার কারণ এখানকার কর্মীরা অনুব্রতকে যথেষ্ট ভালোবাসেন। নিশ্চিতভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে কিছুদিনের জন্য অ্যারেস্ট করে হ্যারাস করা হচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। কারণ আমরা সরকারে আছি। তবে সামান্য কিছু হয়ে সাপের সামনে লাফালাফি করবে সেটা সহ্য করা যায় না। উস্কানিমূলক মন্তব্য করা বন্ধ হোক। আমরা চাই শান্তিতে ভোট হোক।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)