নিজস্ব প্রতিবেদন:    কলকাতা পুরসভার সংশোধনী বিলে রাজ্যপালের সম্মতি মেলার পরই মেয়র পদে মনোনয়ন পেশ করলেন ফিরহাদ হাকিম।  বুধবার দুপুরে মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি  মেয়র অতীন ঘোষও। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ফিরহাদ বলেন, “১২২ জন কাউন্সিলর  আমার প্রতি আস্থা রেখেছিল। আজ আমি মনোনয়ন জমা দিলাম। আগামী ৩ তারিখ নির্বাচন। আমি নিশ্চিত, সেদিনও নির্বাচনের পর এই ঘরে বসেই আমি আপনাদের সঙ্গে প্রেস কনফারেন্স করব।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন না কলকাতার মেয়র। ফিরহাদ হাকিমের প্রতিপক্ষ হলেন বিজেপির পদপ্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিত। যদিও মেয়র নির্বাচনে প্রার্থী দিচ্ছেন না কংগ্রেস ও সিপিএম। সম্ভবত ৮২ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই পুরভোটে লড়বেন ফিরহাদ। সেক্ষেত্রে পদত্যাগ করবেন বর্ষীয়ান কাউন্সিলর প্রণব বিশ্বাস। 


ইভিএম নিয়ে কমিশনকে তোপ, বলরামপুরে বিজেপিকেও বিঁধলেন মমতা


এদিন মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঠিক আগেই জি২৪ ঘণ্টার সামনে বিস্ফোরক কথা বলেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “আমার নামেই আপত্তি রয়েছে বিজেপির। আর পিছন থেকে বিজেপির হাত শক্ত করছে কংগ্রেস সিপিএম।”


যদিও এর পাল্টা বাম পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন,  “ব্যক্তি বা নামে আপত্তি নেই। কিন্তু, কেন নির্বাচিত কাউন্সিলরের মধ্যে কেউ মেয়র হলেন না? কেন পুর আইন সংশোধন ? আমাদের সেখানেই আপত্তি। আর তা নিয়েই আমরা লড়ছি।


প্রসঙ্গত, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা দেওয়ার পরই গত বৃহস্পতিবার উর্ত্তীর্ণে কলকাতা পুরসভার মেয়র হিসাবে ফিরহাদ হাকিমের নাম ঘোষণার পরই রাজ্যে বিরোধীমহলে বিতর্ক  দানা বাঁধে। এতদিন পর্যন্ত   কলকাতা পুরসভায় মেয়র হতে গেলে কাউন্সিলর হওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু শোভনের পরিবর্তে যোগ্যতম মেয়র হিসাবে ফিরহাদের নাম মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করায়, কলকাতা পুরসভায় সংশোধনী বিল আনা হয়।   গত ২২ নভেম্বর  বিধানসভায় কলকাতা পুরনিগম  সংশোধনী বিল  পাশ করে করে। আর এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই বিরোধিতায় নামেন বামেরা। 



পুরনিগম আইনে সায় রাজ্যপালের, ফিরহাদের মেয়র হওয়ার পথে কাটল বাধা


সংবিধানের ৭৪ নম্বর সংশোধনীতে বলা রয়েছে, কোনও একটি পুরসভার সদস্য হতে গেলে একজন ব্যক্তিকে সেই পুরসভারই কোন না কোনও ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।  সেক্ষেত্রে বিরোধীদের অভিযোগ,  পুর আইনের ছয় নম্বর ধারার সঙ্গে সঙ্গে ৭ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, সংবিধানের ২৪৩ এর ‘R’ ধারা অনুযায়ী নির্বাচিত নন এমন কেউ পুর বোর্ডের মিটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না। আর এখানেই আপত্তি বামেদের। মেয়র পদে ফিরহাদ হাকিম এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই হাইকোর্টে  পুর আইন সংশোধন নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে সিপিএম।  


যদিও এসবের উর্ধ্বে ওঠে  বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “সংখ্যালঘুদের ভোট টানতেই ফিরহাদকে মেয়র করছেন মমতা। তৃণমূল ধর্মীয় কার্ড খেললে তাঁরা বিরোধিতা করবেনই।”